Video: ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’, ভরা সংসদে চুল কেটে ফেললেন সাংসদ
Swedish MP Abir Al-Sahlani: ইরানের হিজাব প্রতিবাদের আঁচ পৌছে গেল ইউরোপীয় সংসদে। চুল কেটে ফেললেন সুইডিশ ইউরো সাংসদ আবির আল-সাহলানি।
স্টকহোম: ইরানের হিজাব প্রতিবাদের আঁচ পৌছে গেল ইউরোপীয় সংসদে। ইরানের কঠোর হিজাব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানকার মহিলারা হিজাব পুড়িয়ে দিচ্ছেন, চুল কেটে ফেলছেন। তাদের প্রতি সংহতি প্রদর্শনে ইউরোপীয় সংসদে এক সুইডিশ ইউরো সাংসদ তাঁর চুল কেটে ফেললেন। আবির আল-সাহলানি নামে ওই মহিলা সাংসদ ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে আহ্বান জানালেন।
সাহলানি বলেছেন, “আমরা, ইইউ-এর জনগণ এবং নাগরিকরা, ইরানে মহিলা ও পুরুষদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত হিংসা চলছে, নিঃশর্তে এবং অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। ইরান মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ক্রোধ নিপীড়কদের থেকেও বেশি হবে। যতক্ষণ না আপনারা, ইরানের মহিলারা মুক্ত হবেন, আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াব।” এই জোরালো মন্তব্যের পরই তিনি একটি কাঁচি বের করে নিজের চুল কাটতে কাটতে চিৎকার করে বলেন, “নারী, জীবন, স্বাধীনতা!” শুধু চুল কেটে ফেলাই নয়, ‘ইইউ’-এর কূটনৈতিক প্রধান জোসেপ বোরেল, ইরানের মহিলাদের পক্ষে অবস্থান নেননি বলে, তাঁকে অভিযুক্তও করেছেন। তিনি বলেন, “এখন মুখ খোলার সময় এসেছে। ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। ইরানের মোল্লা শাসকদের হাত রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে।”
View this post on Instagram
বলাই বাহুল্য আবির আল-সাহলানির এই কাজের ভিডিয়ো বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে গোটা ইরানে আগুন জ্বলছে। হিজাব না পরার কারণে অমিনিকে আটক করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ। তারপর তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন, এবং শেষে মৃত্যু হয়। এরপরই সেকানকার মহিলারা রাস্তায় নেমে কঠোর ইসলামী বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। মহিলারা প্রকাশ্যে তাঁদের মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলছেন এবং চুল কেটে ফেলছেন।