স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানের (Islamic Emirates of Afghanistan) অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা হলেন মৌলবি শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার (খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী), মোল্লা মহম্মদ এসা আখুন্দ (খনি ও পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী), মোল্লাহ মহম্মদ আব্বাস আখুন্দ (বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী), মৌলবি শারাফুদ্দিন ও মৌলবি এনায়াতুল্লাহ, (বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিমন্ত্রী), মৌলবি হামদুল্লাহ ঝায়েদ (ক্রয় নিয়ন্ত্রক কর্তা) ,মৌলবি কোয়াদ্রাতুল্লাহ জামাল (সুপ্রিম অডিট অফিসের প্রধান),  মৌলবি এজ়াতুল্লাহ (সুপ্রিম অডিট অফিসের ডেপুটি প্রধান),  মৌলবি মহম্মদ ইউসেফ মাস্তারি (কারাগার অধিকর্তা), মোল্লা হাবিবুল্লাহ ফাজলি (কারাগার বিভাগের উপ-প্রধান) প্রমুখ।

এছাড়াও সীমান্ত ও জনজাতি মন্ত্রক, শহিদ ও বিকলাঙ্গদের জন্য আলাদাভাবে মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা, অর্থ ও তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রকেও প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে কান্দাহার বিমানবন্দরের প্রধানকে, মিলিটারি আদালতেও একজন একজেকিউটিভ কম্যান্ডার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও কান্দাহার, হেলমন্দের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডেপুটি কম্যান্ডার নিয়োগ করা হয়েছে।

গত ১৫ অগস্ট কাবুলের ক্ষমতা দখলের পরই আফগানিস্তান সরকারের পতন হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ঘানি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি হয় ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান। অন্তবর্তী সরকারে নিয়োগ করা হয় ৩৩ জন মন্ত্রীকে। তবে এই মন্ত্রিসভায় আগের সরকারের কোনও মন্ত্রী যেমন জায়গা পাননি, তেমনই কোনও মহিলাকেও স্থান দেওয়া হয়নি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই আরও ১৭ জন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় জানানো হয়েছিল, এটাই চূড়ান্ত মন্ত্রিসভা, এরপর আর কোনও সদস্য নিয়োগ করা হবে না। কিন্তু তালিবান সরকারের শীর্ষ নেতা আখুন্দজাদা আরও ভালভাবে সরকার পরিচালনের জন্য নতুন করে ২৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নাম সুপারিশ করেন। সেই নির্দেশ মেনেই এদের নিয়োগ করা হয়েছে।