Taliban: শহরের মাঝখানেই ক্রেনে ঝুলছে গুলিবিদ্ধ চারটি দেহ! অপহরণের চরম শাস্তি দিল তালিবান

Taliban Public Execution: হেরাটের ডেপুটি গভর্নর জানান, শুধু হেরাট স্কোয়ারই নয়, শহরের একাধিক জায়গায় ওই চারটি মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশে যে অপহরণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না, এই বার্তাই সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

Taliban: শহরের মাঝখানেই ক্রেনে ঝুলছে গুলিবিদ্ধ চারটি দেহ! অপহরণের চরম শাস্তি দিল তালিবান
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2021 | 8:39 AM

হেরাট: শহরের মাঝখানেই ঝুলছে চার-চারটি মৃতদেহ!  তালিবরাজে এভাবেই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে আফগানিস্তানে (Afghanistan)। শনিবারই আফগানিস্তানের হেরাটে (Herat) চার ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে খুন করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেয় তালিবানরা (Taliban)।

সম্প্রতিই তালিবান নেতৃত্বরা জানিয়েছিলেন, অপরাধের শাস্তি হিসাবে ফাঁসি বা হাত কেটে নেওয়ার নিয়ম ফের ফিরিয়ে আনা হবে। দেশে অপরাধ দমন করতে এবং সুশাসন বজায় রাখতেই এই নিয়ম ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তারা। এবার সত্য়িই তার প্রমাণ মিলল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, হেরাটের এক ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে অপহরণ(Kidnap)-র অভিযোগে শনিবারই তালিবানের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষ হয় ওই চারজনের। চারজনকেই নিকেশ করে তালিবানিরা। এরপরই তাদের দেহ নিয়ে সড়কের মাঝখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সকলেই দেখতে পান।

হেরাটের ডেপুটি গভর্নর মৌলবি সইর আহমেদ এমার জানান, অপহরণের খবর পেতেই তালিবানি যোদ্ধারা ওই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে এবং তাদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষ শুরু হয়। অপহরণের উচিত শাস্তি দিতে এবং বাকি অপহরণকারীদের সতর্ক করতে হেরাট স্কোয়ারে তাদের দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

আহমেদ জানান, শনিবার সকালেই তারা খবর পান যে শহরের এক ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার। তালিবানি যোদ্ধারাও প্রতিটি চেকপোস্টে নজরদারি চালায়। সেখানেই একটি চেকপোস্টে অপহরণকারীদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই চার অপহরণকারীকে নিকেশ করে তালিবান। তাদের এক যোদ্ধাও গুলির আঘাতে আহত হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে আহমেদকে বলতে শোনা যায়, “আমরা ইসলামিক এমিরেট। আমাদের দেশের ক্ষতি করার অধিকার কারোর নেই। অপহরণও হতে দেওয়া যায় না।” মুজাহর জানান, শহরে বিগত কয়েক দিন ধরেই অপহরণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

হেরাটের ডেপুটি গভর্নর জানান, শুধু হেরাট স্কোয়ারই নয়, শহরের একাধিক জায়গায় ওই চারটি মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশে যে অপহরণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না, এই বার্তাই সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং যারা কোনও অপরাধের পরিকল্পনা করছেন, তারাও যাতে সতর্ক হন, সেই কারণেই দেহগুলি এভাবে একাধিক জায়গায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল বলে তিনি জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত ওই দেহগুলি একটি তালিবানি পতাকা লাগানো গাড়িতে পড়ে রয়েছে। ক্রেনের সাহায্যে একের পর এক দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পথচলতি সাধারণ মানুষ সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ালেও নিরুত্তাপ তালিবানি যোদ্ধারা। বন্দুক হাতে তারা গল্পে মশগুল।

ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ক্রেনে ঝুলন্ত এক ব্যক্তির দেহে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে তালিবানিরা। তাতে বড় বড় হরফে লেখা অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে।

দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম জনসমক্ষে এই ধরনের নৃশংস শাস্তি দিল তালিবানিরা।  এরপরেই মনে করা হচ্ছে যে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি যে কঠোর ইসলামিক শাসন চালিয়েছিল তালিবান, সেই শাসনব্যবস্থাই ফিরে আসতে চলেছে।