Afghanistan Issue: আফগানিস্তানে তালিবান সদস্যদের হাতেই পুলিশ প্রধান, গভর্নরের দায়িত্ব
Afghanistan, Taliban, সেপ্টেম্বর মাসে তালিবান সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে এই প্রথম প্রশাসনিক পদে এত বড় মাপের নিয়োগ হল। তালিবান দলের সদস্যদের নতুন ভূমিকার তালিকা প্রকাশ করেছে।
কাবুল: যস্মিন দেশে যদাচার! ‘রক্ষকই ভক্ষক’ বাংলাতে বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ সকলেরই জানা। তবে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ‘ভক্ষকই রক্ষক’ প্রবাদের এই উলট পুরাণই প্রযোজ্য। রবিবার, ৪৪ জন তালিবান সদস্যকে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রধান ও গভর্নর পদে নিয়োগ করল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার (Taliban Government in Afghanistan)। আফগান ভূমে আইসিস কে (ISIS K) জঙ্গিদের মুখে লাগাতার আক্রমণের মুখে যখন সেদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে, যখন দিনের পর দিন সরকার চালাতে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি তালিবান সরকার, তখন এধরনের পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর মাসে তালিবান সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে এই প্রথম প্রশাসনিক পদে এত বড় মাপের নিয়োগ হল। তালিবান দলের সদস্যদের নতুন ভূমিকার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকা অনুযায়ী রাজধানী কাবুলের গভর্নর হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছেন কারি বরয়াল এবং শহরের পুলিশ প্রধান হিসেবে ওয়ালি জান হামজাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পূর্ববর্তী কমান্ডার, মাওলাভি হামদুল্লাহ মুখলিস, চলতি মাসেই কাবুলের কেন্দ্রস্থলে আফগানিস্তানের বৃহত্তম সামরিক হাসপাতালে হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
আইসিস কে (ISIS K) জঙ্গিদের তালিবান বিরোধিতা ক্রমশ বাড়ছে এমনকি আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণের সঙ্গেও এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উঠে আসছে। এই আইসিস জঙ্গিরা তালিবানদের দলে অনুপ্রবেশ করে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেন সেই সম্ভাবনা তালিবান শীর্ষস্তরে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট তালিবানের হাতে শাসনভার যাওয়ার পর থেকই আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে সব কটি ঘটনার সঙ্গেই এই আইএস কে জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলেই মনে করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার অলিন্দে তালিবান বসার পর থেকেই লক্ষ লক্ষ আফগান জনগণ বাস্তুহারা হয়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। অনেকেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সকলেরই ধারণা ছিল, তালিবান রাজে নানা ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সম্ভাবনা রয়েছে। সব থেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন সেদেশের মহিলারা। আগের তালিবান রাজে ইসলামের শরিয়া আইন অনুযায়ী মহিলাদের জীবনে অধিকার বলে কিছু ছিল না শিক্ষার অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছিল।
মনে করা হয়েছিল নয়া তালিবান রাজেও এরকমই কিছু ঘটবে। এমনকি সেই রকম ইঙ্গিত ও মিলেছিল। ছেলেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি খোলার কথা ঘোষণা করলেও মেয়েদের স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে নিরব ছিল তালিবান। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে সরকারে স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে চাপের মুখে তালিবান জানিয়েছিল, মেয়েদের জন্য নির্মিত পৃথক স্কুল গুলি দ্রুতই খুলে দেওয়া হবে। আগামী দিনে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Fisherman Killing Case: পাক নৌসেনার নামে মৎসজীবীকে খুনের মামলা, পিঠ বাঁচাতে সাফাই পাকিস্তানের