Fisherman Killing Case: পাক নৌসেনার নামে মৎসজীবীকে খুনের মামলা, পিঠ বাঁচাতে সাফাই পাকিস্তানের

Case Filed Against Pakistan Navy: সরকারি সূত্রে খবর, বিনা সতর্কতায় গুলি করে মৎসজীবী খুনের ঘটনায় বেজায় চটেছে নয়া দিল্লি। বিষয়টি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Fisherman Killing Case: পাক নৌসেনার নামে মৎসজীবীকে খুনের মামলা, পিঠ বাঁচাতে সাফাই পাকিস্তানের
পাক নৌসেনার নামে দায়ের হল মামলা। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 1:00 PM

নয়া দিল্লি: গুজরাট উপকূলে ভারতীয় মৎসজীবী(Fisherman)-কে গুলি করে খুনের ঘটনায় এ বার পাকিস্তানের নৌবাহিনীর (Pakistan Navy) নামে মামলা দায়ের করল কেন্দ্র সরকার। শনিবার বিকেলে আরব সাগরের গুজরাট উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রমের “অপরাধে” এক ভারতীয় মৎসজীবীকে গুলি করে খুন করে পাক নৌসেনা। আহত হন আরও এক মৎসজীবী। এই ঘটনারই জবাবে কড়া পদক্ষেপ করল ভারত সরকার।

সূত্রের খবর, পোরবন্দর নভি বন্দর পুলিশের তরফে ১০ জন পাকিস্তানি নৌসেনার আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীলীপ নাটু সোলাঙ্কি নামক যে মৎসজীবী আহত হয়েছেন, তাঁর তরফেই পুলিশ এই মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে ওই মৎসজীবী গুজরাটের ওখায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে জলপরী নামক একটি নৌকা নিয়ে গুজরাটের সমুদ্রে মাছ ধরতে যান সাত ভারতীয় মৎসজীবী। ভুলবশত তারা আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যেতেই নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানি নৌসেনা। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মৎসজীবীর। মৃত ওই মৎসজাবীর নাম শ্রীধর রমেশ চামরে (৩২)। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও ছয়জন মৎসজীবী শনিবার মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই গুলি চালায় পাক নৌসেনা।

ভারতের বিবৃতি: 

ভারতীয় উপকূলরক্ষীর তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেলে গুজরাট উপকূলে ভারতীয় নৌকার উপরে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর গুলি চালানোর যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এক মৎসজীবীর মৃত্যু হয়েছে এবং অপর এক মৎসজীবী আহত হয়েছেন। সরকারি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “বর্তমানে ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। নৌকায় যারা ছিলেন, তাদের সকলকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শেষের পরই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।”

সরকারি সূত্রে খবর, বিনা সতর্কতায় গুলি করে মৎসজীবী খুনের ঘটনায় বেজায় চটেছে নয়া দিল্লি। বিষয়টি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র আইন লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান, এই অভিযোগই তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

পাকিস্তানের সাফাই:

এ দিকে, গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই পাকিস্তানের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, ভারতীয় মৎসজীবীদের ওই নৌকা বেআইনিভাবে পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। নৌবাহিনীর তরফে সতর্ক করা সত্ত্বেও ওই নৌকাটি ক্রমশ পাকিস্তানের জলভাগে এগিয়ে আসাতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালানো হয়েছিল। তাও মৎসজীবীদের লক্ষ্য করে নয়, নৌকা লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল, দুর্ভাগ্যবশত তা ওই মৎসজীবীর গায়ে লাগে।

পাকিস্তানের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সতর্ক করা সত্ত্বেও জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় নৌকাটি এগিয়ে আসায়, পিএমএসএ জাহাজ থেকে ভারতীয় নৌকার পাশে গুলি ছোড়া হয়। এরপরও তারা ইঞ্জিন বন্ধ না করলে সরাসরি নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।”

পাকিস্তানের বিবৃতি অনুযায়ী, নৌকায় থাকা বাকি ছয়জন মৎসজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: Pm Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আডবাণীর বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী, দেশ ওনার কাছে আজীবন ঋণী থাকবে, বললেন মোদী