Terrorist Organization: বারবার রক্তাক্ত হয়েছে বিশ্ব, নৃশংসতার শীর্ষে এই পাঁচ জঙ্গি সংগঠন
Terrorism: জঙ্গিদের ঘটানো নাশকতার ঘটনায় যত লোকের মৃত্যু হয়েছে তার ভিত্তিতে সন্ত্রাসে বিদীর্ণ দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়ার এক সংস্থা। গ্লোবাল টেরোরিস্ট ইন্ডেক্স (জিটিআই) নামের সেই রিপোর্টে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
নয়াদিল্লি: জঙ্গি হামলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত বছরে। জঙ্গিদের ঘটানো নাশকতার ঘটনায় যত লোকের মৃত্যু হয়েছে তার ভিত্তিতে সন্ত্রাসে বিদীর্ণ দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়ার এক সংস্থা। গ্লোবাল টেরোরিস্ট ইন্ডেক্স (জিটিআই) নামের সেই রিপোর্টে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেই সব রিপোর্টে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন নাশকতার হামলায় জড়িত রয়েছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু নাশকতার ঘটনা ঘটানোয় শীর্ষে রয়েছে কোন কোন জঙ্গিগোষ্ঠী, তা উল্লেখিত হয়েছে সেই রিপোর্টে।
আইসিস (ISIS)
২০২২ সালে নাশকতার ঘটনা ঘটনোয় শীর্ষে রয়েছে আইসিস। বিশ্বের নাশকতার ঘটনায় ২৭ শতাংশ লোকের মৃত্যু হয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায়। দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হামলার ঘটনার পিছনে দায়ী এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
আল শাবাব (Al Shabaab)
আল কায়দার মদতপুষ্ট এই জঙ্গিগোষ্ঠী পূর্ব আফ্রিকার একাধিক দেশে ধারাবাহিক ভাবে নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে গিয়েছে। তাদের হামলায় ৭৮৪ জনের মৃত্যু পাশাপাশি আহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি জনের। মূলত কেনিয়া ও সোমালিয়ায় হামলা চালিয়েছে আল শাবাব। সম্প্রতি ইথিওপিয়ার টিগ্রে এলাকাতেও নিজেদের উপস্থিতির জানান দিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী।
আইসিস খোরসান (ISIS-K)
সিরিয়া ও ইরানের বাইরেও নিজেদের সংগঠন গড়েছে আইসিস। আফগানিস্তানেও রয়েছে তাদের উপস্থিতি। সেখানে আইসিসের শাখা হল আইসিস খোরসান। আফগানিস্তানে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার পিছনে দায়ী এই গোষ্ঠী। এদের হামলায় গত বছর ৪৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জামাত নুসরত আল ইসলাম আল মুসলিমিন (JNIM)
বেনিন এবং টোগো এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। ২০১৭ সালে তৈরি হয় এই জঙ্গিগোষ্ঠী। গত বছর এই জঙ্গিগোষ্ঠীর চালানো হামলায় ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি
পাকিস্তানের বালুচিস্তান আর্মি পাকিস্তানের বালুচিন্তান প্রদেশে রয়েছে। বালুচিস্তানকে স্বাধীন প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে পাক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালায় তাঁরা। গত এক বছরে একাধিক আক্রমণ শানিয়েছে এই গ্রুপের সদস্যরা। তাঁদের নিশানা থাকে মূলত পাকিস্তানের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকরাও এই গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়েছেন গত কয়েক বছরে।