AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Taliban: অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ নেতা আখুন্দজ়াদার, অবশেষে স্বীকার করল তালিবান

Hibatullah Akhundzada: গত কয়েক মাসে জনসমক্ষে বিশেষ আসতে দেখা যায়নি তাঁকে। এরপরই জল্পনা শুরু হয়।

Taliban: অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ নেতা আখুন্দজ়াদার, অবশেষে স্বীকার করল তালিবান
২০১৬ থেকে তালিবানের নেতৃত্ব দিয়েছে আখুন্দজ়াদা (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2021 | 7:54 AM
Share

কাবুল: আফগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবান (Taliban) নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর হিবাতুল্লা আখুন্দজ়াদার (Hibatullah Akhundzada) নাম বারবার সামনে এসেছে। তিনিই যে নব গঠিত সরকারের অন্যতম মাথা হবেন, তেমনটাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, গত কয়েক মাসে তাঁকে বিশেষ প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি। শুধু ইন্টারনেটে তাঁর একটি মাত্র ছবিই দেখা গিয়েছে। তাই সন্দেহ ছিলই। অবশেষে তালিবানের তরফ থেকে মেনে নেওয়া হল হিবাতুল্লা আখুন্দজ়াদার মৃত্যুর কথা। পাকিস্তানের (Pakistan) বাহিনী হাতে ২০২০-তেই তাঁর মৃত্যুর কথা স্বীকার করল তালিবান। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য সামনে আনেন তালিব নেতা আমির আল মুমিনিন (Amir Al-Muminin)।

তালিব নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত বছর পাক বাহিনীর হামলায় শহিদ হয়েছেন হিবাতুল্লা আখুন্দজ়াদা। এক আত্মঘাতী হাললায় তাঁর মৃত্যু পয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান। নিউ ইয়র্ক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেটে হিবাতুল্লা আখুন্দজ়াদার যে ছবি দেখা যায়, তা আসলে বহু বছরের পুরনো। আফগানিস্তানে নয়া তালিবান সরকার ঘোষণার সময়েও শোনা গিয়েছিল আখুন্দজ়াদা নাম। মনে করা হয়েছিল আখুন্দজ়াদার নেতৃত্বেই সরকার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তালিবানের। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে আদৌ বেঁচে আছেন আখুন্দজ়াদা? পাক-বাহিনীর হাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: Afghanistan Blast: নমাজ চলাকালীনই ভয়াবহ বিস্ফোরণ কান্দাহারের শিয়া মসজিদে, নিহত ৩২

২০১৬ তে তালিবান নেতা মোল্লা আখতার মনসুর একটি ড্রোন হামলায় নিহত হন। এরপরই ক্ষমতায আসে আখুন্দজ়াদার হাতে। সেই সময় থেকেই তালিবানের মাথা হয়ে ছিলেন আখুন্দজ়াদা। তাই তালিবানের যে কোনও রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে শেষ কথা বলতেন তিনিই। তালিবান কী ভাবে চলবে, কোথায় ক্ষমতায় আসবে আর কোথায় ক্ষমতা ভাঙবে সেটাও নাকি বলতেন তিনিই। আফগানিস্তানে কান্দাহার প্রদেশে থাকতেন তিনি।

বরাবরই চরমপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন আখুন্দজ়াদা। বিশেষত মহিলাদের প্রতি তাঁর চিন্তাভাবনা ছিল চরমপন্থী। তবে অন্যান্য নেতাদের মতো তিনি কখনও সে ভাবে বিদেশে যাননি। আফগানিস্তানের এক গোয়েন্দা কর্তা জানান বিশ্বের বড় কোনও ইস্যু সম্পর্কে আখুন্দজ়াদার কোনও ধারনাই ছিল না।

আরও পড়ুন: : United Nations: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে পুনরায় নির্বাচিত ভারত

এ দিকে, আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্ব। আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠন না হলেও শীর্ষ স্তরের দায়িত্বে থাকা দুই নেতার মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক সংঘাত। খলিল হক্কানির সঙ্গে সংঘাতের পরেই কাবুল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর। প্রায় মাসখানেক কাবুল-মুখী হননি তিনি। সূত্রের খবর, অবশেষে কিছুদিন আগে তিনি ফিরেছেন আফগানিস্তানের রাজধানীতে। উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। সে দায়িত্ব সামলাতে আপাতত রাজি হয়েছেন তিনি। তবে তালিবানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হাক্কানির দেওয়া নিরাপত্তা গ্রহণ করতে রাজি নন বরাদর।