Bristal: ঘুমের মধ্যে মহিলার মুখে মলত্যাগ পোষা কুকুরের, শুরু হল সারা শরীরে খিঁচুনি…
Dog pooed in UK Woman's mouth: ঘুমের মধ্যে মহিলার মুখে মলত্যাগ করল পোষা কুকুর। তারপর যা হল ওই মহিলার...
লন্ডন: এক অদ্ভুত অথচ ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকার হলেন ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের এক মহিলা। দুপুরে একটু ভাত-ঘুম দিচ্ছিলেন ৫১ বছরের আমান্ডা গোমো। তাঁর পাশেই শুয়ে ছিল তাঁর পোষা কুকুর বেল। সে একটি চিহুয়াহুয়া প্রজাতির কুকুর। ঘুমের মধ্যে আমান্ডার মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছিল। এদিকে, পোষ্যটি ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়েছিল। বেগ সামলাতে না পেরে, আচমকা সে মলত্যাগ করে ফেলেছিল। আর সেই মল ছিটকে গিয়ে পড়ে আমান্ডার মুখে। যার জেরে তাঁকে তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিত্সা করাতে হয়েছে।
আমান্ডা বলেছেন, “আমি ঘুমের মধ্যে হঠাৎ কিছু আমার মুখের মধ্যে পড়েছে বলে অনুভব করেছিলাম। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। আমি দ্রুত বাথরুমে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার ছেলে তখন স্নান করছিল। তাই মুখ ধুতে অনেকটা দেরি হয়েছিল। তার আগে আমি আমার একটা ছবিও তুলেছিলাম। আমার খুব ঘেন্না করছিল। কয়েক ঘন্টা পরও মুখ থেকে ওই ঘিনঘিনে স্বাদ যায়নি।”
এদিকে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত অসুস্থ কুকুরছানাটিকে পশুচিকিত্সকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন আমান্ডার মেয়ে। তার পেটে ডায়েরিয়ার জীবানু ধরা পড়ে। চিকিৎসক তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেন। দু-একদিনের মধ্যেই সে সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। তবে পোষ্য বেল সুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমান্ডা। তাঁর শরীরেও কুকুরছানাটির মতো একই ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা যায়। তার পেটে খিঁচুনি শুরু হয়।
অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে তাঁরা প্যারামেডিকদের ডাকতে বাধ্য হন। তাঁরা পেটের খিঁচুনির জন্য আমান্ডাকে ব্যথানাশক ওষুধ দেন। যেকোনও রকম সংক্রমণ দূর করতে তাঁকে প্রচুর জল পান করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁদের পরিদর্শনের পর থেকে আমান্ডার শরীর আরও খারাপ হতে থাকে। ৪৮ ঘন্টা পরে, তাঁর গোটা শরীরের খিঁচুনি ছড়িয়ে পড়ে। আমান্ডাকে দ্রুত ব্রিস্টল রয়্যাল ইনফার্মারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা দ্রুত তাঁকে স্যালাইন দেওয়া শুরু করেন।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা জানান, আমান্ডা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশনে ভুগছেন। দিন কয়েক আগে পোষ্য কুকুর বেলের মল তাঁর মুখে প্রবেশ করেছিল। আর তার থেকেই এই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তাঁর দেহে। ফলে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে গিয়েছে। এরপর, তিন দিন আমান্ডাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। তিনি বলেছেন, “অসুস্থ হওয়ার পর আমাকে যখন স্যালাইন দেওয়া হচ্ছিল, সেই সময় থেকে আমি কিছু খেতে পারছিলাম না। শরীরে খিঁচুনি আরও বাড়ছিল। সারা শরীরে, এমনকি পায়েও খিঁচুনি অনুভব করছিলাম। ডায়েরিয়ায় শরীর থেকে এতটাই জল বেরিয়ে গিয়েছিল যে, আমার কিডনিগুলি তাদের আকারের অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল।”
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, কুকুরটি আমান্ডার মুখে মলত্যাগ করার কারণেই তিনি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনটা তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। আপাতত, আমান্ডা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে গ্লুকজ, চা এবং জল পান করছেন। তিনি ও বেল, দুজনেই আপাতত সুস্থ। ওই দুর্ঘটনার জন্য বেলের উপর আমান্ডার কোনও ক্ষোভও নেই। তিনি বলেছেন, “ওকে আমি খুব ভালবাসি, তবে ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে ঘুমোবো, সেই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।”