Ukraine President’s Video Message: পরনে জলপাই ইউনিফর্ম, হাতে বন্দুক তুলে প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘আমরা এখানেই আছি’
Ukraine President's Video Message: গাঢ় সবুজ রঙের মিলিটারি পোশাক পরে, প্রেসিডেন্সি বিল্ডিংয়ের বাইরে প্রধানমন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকদের পাশে নিয়েই রাশিয়ার চাপের জবাব দিতে দেখা যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কিকে।
কিয়েভ: রাশিয়ার হামলার পরই জানিয়েছিলেন, তাঁকে নিশানা বানানো হচ্ছে। এবার দেশকে রক্ষা করতে হাতে বন্দুকও তুলে নিলেন ইউক্রেন(Ukraine)-র প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। শুক্রবারই তিনি সেনাদের সঙ্গে রাস্তায় বসে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, দেশ ছেড়ে কোথাও পালাচ্ছেন না তিনি। সেনাবাহিনীর সঙ্গেই হাত মিলিয়ে দেশকে রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই ছবি ও ভিডিয়ো। রাশিয়া(Russia)-র আগ্রাসনী শক্তির মুখে পড়েও তিনি যেভাবে সাহস প্রদর্শন করছেন এবং লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে নেটাগরিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুশ সেনা কিয়েভ(Kyiv)-র দিকে এগোচ্ছে, এই খবর পাওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট রাজধানীতে পৌঁছেছেন এবং সেখানেই একটি বাঙ্কারে বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
গাঢ় সবুজ রঙের মিলিটারি পোশাক পরে, প্রেসিডেন্সি বিল্ডিংয়ের বাইরে প্রধানমন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকদের পাশে নিয়েই রাশিয়ার চাপের জবাব দিতে দেখা যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কিকে। দেশবাসীর উদ্দেশে পোস্ট করা ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা সবাই এখানে রয়েছি। আমাদের মিলিটারি বাহিনী রয়েছে। সমাজের সাধারণ মানুষও রয়েছে। আমরা সবাই মিলেই আমাদের স্বাধীনতার জন্য, দেশের জন্য লড়াই করছি। আগামিদিনেও এইরকমভাবেই একসঙ্গে থাকব আমরা।”
Our boy President of Ukraine Volodymyr Zelenskyy fighting in the trenches for the freedom of his people. What a fucking Chad. pic.twitter.com/BwJhPckbVb
— Stephen Ford (@StephenSeanFord) February 26, 2022
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা বাড়াতে শুরু করেছিল। সেই সময়ই সতর্ক হয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেন। এরপর গত বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনকে দখল করা লক্ষ্য নয় রাশিয়ার। বরং দুটি প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির উত্থান হয়েছে, তা দমন করার জন্যই এই সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অন্য বাস্তব চিত্রই ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই স্থল, জল ও আকাশপথে ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়া।
শুক্রবার দুপুরের দিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। শহরের ভিতরে ও সীমানার পার্শ্ববর্তী একাধিক অঞ্চলেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। মধ্যরাতে এয়ারস্ট্রাইক চালাতে পারে রাশিয়া, এই আশঙ্কায় কিয়েভের বাসিন্দাদের নিরাপদ কোনও জায়গায়, প্রয়োজনে শহরের একাধিক স্থানে যে বাঙ্কার খুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানেও আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। রাশিয়ান সেনার আক্রমণের জবাব দিতে, হাতের কাছে পেট্রোল বোমা তৈরি রাখার পরামর্শও দিয়েছেন কিয়েভের মেয়র।
অন্যদিকে, মস্কো থেকে টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জ়েলেনস্কির সরকারকে জঙ্গি ও মাদক সেবনকারীদের দল বলে আখ্য়া দিয়েছেন। ইউক্রেনের নেতৃত্ব যাতে পিছু হটে যায়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন পুতিন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও যে সহজে হার মানার পাত্র নন, তা হাতে বন্দুক তুলে নিয়েই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।