‘আমরা ভুলব না, ক্ষমাও করব না’, গলা ধরে এলেও পাল্টা জবাব দেওয়ার বার্তা বাইডেনের

বাইডেন বলেন, "যারা এই হামলা চালিয়েছে এবং যারা আমেরিকার ক্ষতি চায়, তারা শুনে রাখুন- আমরা ভুলব না, ক্ষমাও করব না। আমরা ঠিক খুঁজে বের করব এবং তোমাদের এই হামলার মূল্য চোকাতেই হবে।"

'আমরা ভুলব না, ক্ষমাও করব না', গলা ধরে এলেও পাল্টা জবাব দেওয়ার বার্তা বাইডেনের
ডো বাইডেন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 8:12 AM

ওয়াশিংটন: বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট তিনি। তবে কাবুলে ভয়াবহতার ছাপ পড়েছে তাঁর মুখেও। কাবুল বিমানবন্দর(Kabul, Airport)-র বাইরের হামলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেকে সামলে নিয়ে হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে বললেন, “হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবেই এবং হামলাকারীদের মূল্যও চোকাতে হবে।” পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পেন্টাগন, একথাও জানান বাইডেন।

বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একের পর এক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। এরমধ্যে ১২ জন মার্কিন সেনাও রয়েছে। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরে হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবেই। বিস্ফোরণের ঘটনায় ভয় না পেয়ে উদ্ধারকার্য জারি রাখা হবে বলোই জানিয়েছেন তিনি।

বাইডেন বলেন, “যারা এই হামলা চালিয়েছে এবং যারা আমেরিকার ক্ষতি চায়, তারা শুনে রাখুন- আমরা ভুলব না, ক্ষমাও করব না। আমরা ঠিক খুঁজে বের করব এবং তোমাদের এই হামলার মূল্য চোকাতেই হবে।”

যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকার্য চালানো হয়েছে, তার প্রশংসা করে মার্কিন বাহিনীর কর্মীদের “হিরো” বলে আখ্যা দেন বাইডেন। তিনি জানান, বিস্ফোরণ বা হামলার প্রভাব পড়তে দেওয়া হবে না উদ্ধারকার্যে। ৩১ অগস্ট অবধি যে উদ্ধারকার্য চালানোর পরিকল্পনা ছিল, তা জারিই থাকবে।

বাইডেন জানান, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হবে। দেশে ফিরে আসবে মার্কিন সেনাবাহিনীও। বর্তমানে প্রায় এক হাজার মতো মার্কিনবাসী আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন। ৩১ অগস্টের আগেই তাদের উদ্ধার করে আনা হবে। গতকালের হামলাতেই ইতি নয়, ফের বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মিলিটারি বাহিনী সমস্ত দিক পর্যালোচনা করেই উদ্ধারকার্য জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তালিবানের উপর প্রথমে সন্দেহ করলেও সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন জানান, ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের সঙ্গে তালিবানের যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কম্যান্ডারদেরও নির্দেশ দিয়েছি আইসিস-কের নেতা, সম্পত্তি ও সংগঠন উপর পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে। আমরা সঠিক সময়ে আমাদের পছন্দমতো জায়গাতেই কড়া জবাব দেব।”

বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কা আগেই ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরেই আত্মঘাতী হামলা হতে পারে, গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর মিলেছিল। এরপরই আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, কেউ যেন বিমানবন্দরে না আসেন। যারা বিমানবন্দরের গেটের বাইরে রয়েছেন, তারাও যেন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি কেউ যেন বিমানবন্দরে না আসেন। আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে’, কাবুলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নিন্দা ভারতের