Russia-Ukraine Conflict : ‘কড়া নিষেধাজ্ঞা’! পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সাহায্যের আশ্বাস আমেরিকার

Russia-Ukraine Conflict : রাশিয়ার উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। এর পাশাপাশি ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Russia-Ukraine Conflict : 'কড়া নিষেধাজ্ঞা'! পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সাহায্যের আশ্বাস আমেরিকার
গ্রাফিক্স : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 7:34 AM

নিউ ইয়র্ক : সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তবে উত্তেজনার আঁচ এতটুকু কমেনি। ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়া নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করায় সেই আঁচ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছে মস্কো। গতকাল ক্রেমলিনের তরফে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই মর্মে একটি চুক্তি স্বাক্ষরও করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে পুতিনের এই ঘোষণার পরই নিজের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালো আমেরিকা। ইউক্রেনে রাশিয়া প্রথম সামরিক অভিযানের ঘোষণা করার পরই মস্কোর উপর আর্থিক সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। এবার আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করার হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ‘রাশিয়ার উপর আরও গুরুতর এবং দ্রুত নিষেধাজ্ঞা জারি করছে আমেরিকা।’ সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, কোনও দেশ রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানালে তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পক্ষে জি৭ এর দেশগুলি। অর্থাৎ, ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করায় রাশিয়াকে অন্য কোনও দেশ সমর্থন করলে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা।

তবে শুধুমাত্র রাশিয়া ও এই পদক্ষেপ সমর্থনকারী দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষান্ত নেই আমেরিকা। ইউক্রেনকে ফের অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্য দেওয়ার বার্তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। সংবাদ সংস্থা এএফপি গতকাল আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) জেক সুলিভান জানিয়েছেন,খুব শীঘ্রই আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য নতুন অস্ত্রশস্ত্র সাহায্যের ঘোষণা করবে আমেরিকা। এদিকে বাইডেন সরকার ইউক্রেনে একটি দীর্ঘকালীন অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ১৮ টি নতুন হিমার মাল্টিপল রকেট সিস্টেম পাঠানোর কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গা থেকে রাশিয়া পিছু হঠলেও চারটি অঞ্চল রাশিয়ার দখলে ছিল। সেগুলি হল ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জ়াপোরিঝঝিয়া ও খেরসন। এবার এই অঞ্চলগুলি পুরোপুরিভাবে নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য সেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত করে রাশিয়া। গণভোটের ঘোষণার পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পশ্চিমি বিশ্ব। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে পাল্টা রুশ সামরিক বাহিনীর গতিবিধি আংশিক বৃদ্ধি করে গণভোট করায় মস্কো। এদিকে সেই ভোটে রাশিয়ার জয় হয়েছে বলেও দাবি ক্রেমলিনের। এরপরই গতকাল আনুষ্ঠিকভাবে এই চার অঞ্চল নিজেদের বলে ঘোষণা করেন পুতিন। গতকাল বিবিসির একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, মস্কোয় পুতিন জানিয়েছেন, ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জ়াপোরিঝঝিয়া ও খেরসনের বাসিন্দারা এখন রাশিয়ার নাগরিক। তবে রাশিয়ার এই দাবিকে মান্যতা দিতে নারাজ পশ্চিমা বিশ্ব।