Britain’s PM Election: ব্যালট বক্সে সাইবার হানার আশঙ্কা, শিকেয় ঝুলছে ঋষি সুনক-লিজ ট্রাসের ভবিষ্যৎ!

Britain's PM Election: সম্প্রতিই কনজারভেটিভ পার্টির তরফে পরিকল্পনা করা হয়েছিল দলের সদস্যদের নিজেদের ভোটবদলের সুযোগ দেওয়া হবে। গোয়েন্দা সংস্থার তরফে হ্য়াকিং নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতেই সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

Britain's PM Election: ব্যালট বক্সে সাইবার হানার আশঙ্কা, শিকেয় ঝুলছে ঋষি সুনক-লিজ ট্রাসের ভবিষ্যৎ!
পিছিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2022 | 11:57 AM

লন্ডন: মুখোমুখি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। আগামী মাসেই প্রধানমন্ত্রী হবেন এদের মধ্যে কোনও একজন। শেষ মুহূর্তে ভোটের প্রচারও চালাচ্ছিল দুই প্রার্থী। কিন্তু এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়ল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটই। সাইবার হ্য়াকাররা ব্যালট বক্সের উপরে হামলা চালাতে পারে, গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর মিলতেই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ব্রিটেনের মানুষ ব্যালটবক্সে যে মতদান করবেন, তা বদল করে দেওয়া হতে পারে। সাইবার হ্যাকাররা ইতিমধ্যেই হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা করেছে বলে জানা গিয়েছে।

দ্য় টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, বড় কোনও হুমকি না আসলেও, ভোটিংয়ের পদ্ধতি ও তা হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে। সম্প্রতিই কনজারভেটিভ পার্টির তরফে পরিকল্পনা করা হয়েছিল দলের সদস্যদের নিজেদের ভোটবদলের সুযোগ দেওয়া হবে। গোয়েন্দা সংস্থার তরফে হ্য়াকিং নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতেই সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতেই কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার সদস্যের ভোট গ্রহণের জন্য ব্যালট বক্স আসার কথা ছিল। এবার সেই ব্যালট বক্স ১১ অগস্টের পর এসে পৌঁছতে পারে। এই ভোটের পরই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা বেছে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বরিস জনসনের ইস্তফার পরই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াই শুরু হয়েছে। শেষ ধাপে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক ও বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হতে চলেছে।

শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিতভাবে যাতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয়, তার জন্য ব্রিটেনের গভার্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেডকোয়ার্টার বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য ও ঝুঁকির সম্ভাবনা খুঁজে বের করা হচ্ছে। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের তরফে ইতিমধ্যেই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সাংসদদের সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।