Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

WHO: ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’, চিনে লাগামছাড়া সংক্রমণ রুখতে এই কাজের পরামর্শ দিলেন হু প্রধান

China COVID-19 Situation: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ারে কতজন ভর্তি রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। 

WHO: 'অত্যন্ত উদ্বিগ্ন', চিনে লাগামছাড়া সংক্রমণ রুখতে এই কাজের পরামর্শ দিলেন হু প্রধান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 1:18 PM

জেনেভা: ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে চিনের করোনা পরিস্থিতি (China COVID-19)। হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বর্ষশেষে হঠাৎ এই সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রনের অতি শক্তিশালী সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7 Sub Variant)। আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। চিনের এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Healrh Organization)। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস বলেন, “চিনে যেভাবে আকস্মিক করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তা নিয়ে আমি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন”। সংক্রমণ রুখতে চিনে যাতে টিকাকরণের হার বাড়ানো হয়, তা নিয়েও অনুরোধ জানান হু প্রধান।

বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস বলেন, “চিনের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন। সেখানে ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন যাতে করোনা টিকাকরণের উপরে জোর দেয়, তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জোর দিচ্ছে। আমরা ক্লিনিক্যাল কেয়ার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য সমর্থন ও সহায়তা জারি রাখব।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ারে কতজন ভর্তি রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সংক্রমণের শুরু থেকেই চিন কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড নীতি’ জারি করেছিল। সেই নীতিতে সংক্রমিতের খোঁজ মিললেই কড়া লকডাউন থেকে শুরু করে কোয়ারেন্টাইন- যাবতীয় কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মাসের পর মাস ধরে এই কঠোর নিয়ম জারি থাকায় সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে নামেন। চাপে পড়েই জিরো কোভিড নীতি শিথিল করতে রাজি হয় চিন। তারপর থেকেই চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
অন্য়দিকে, চিনে করোনায় আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্য়াও বাড়তেই জিনপিং সরকারের তরফে করোনায় মৃত বললে কাদের গণ্য করা হবে, সেই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সে দেশের সরকারের তরফে জানানো হয়, করোনা আক্রান্তদের মধ্য়ে যাদের রেসপিরেটরি ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হবে, একমাত্র তাদেরই করোনায় মৃত বলে গণ্য করা হবে।