৫ বছরের জন্য পতঞ্জলির থেকে কর নেবে না সরকার !
আগামী বছরই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগে সংস্থার করে ছাড় মেলায় শাসকদলের হয়ে অর্থ লেনদেন করতে পারে পতঞ্জলি, এই অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
দেহরাদুন: পাঁচ বছরের জন্য করে ছাড় পেল রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। আগামী পাঁচ বছর এই ট্রাস্টে যত আর্থিক অনুদান জমা পড়বে, তার জন্য কোনও ট্যাক্স বা কর দিতে হবে না পতঞ্জলি সংস্থাকে। সোমবারই নির্দেশিকা দিয়ে এ কথা জানায় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সের। এ দিকে, করে ছাড় দেওয়া ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীনে এই সংস্থাকে গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। আয়কর আইের ৩৫ ধারা অনুযায়ী, সংস্থা গবেষণার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে যে আর্থিক অনুদান পায়, তার জন্য অতিরিক্ত কর দিতে হবে না। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ সাল থেকে ২০২৬-২৭ সাল অবধি পতঞ্জলি সংস্থাকে প্রাপ্ত অনুদানের উপর কোনও কর দিতে হবে না।
এ দিকে, আগামী বছরই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগে সংস্থার করে ছাড় মেলায় শাসকদলের হয়ে অর্থ লেনদেন করতে পারে পতঞ্জলি, এই অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। আপাতত সোশ্যার মিডিয়া সরগরম এই চর্চায়। তবে পতঞ্জলি সংস্থার সিইও আচার্য বালকৃষ্ণ জানান, তাদের সংস্থা ওই কর্পোরেট ঘরানার নয়, যারা কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থনে পরিচালিত হয়। দেশের সাধারণ মানুষে উন্নতির লক্ষ্যেই কাজ করে পতঞ্জলি সংস্থা।
তিনি বলেন, “আমাদের সংস্থায় ৩০০ জন বৈজ্ঞানিক কাজ করেন এবং যোগ ও আয়ুর্বেদ নিয়ে হাজারো গবেষণা প্রকাশিতও হয়েছে।” পতঞ্জলি সংস্থার ট্রাস্টের এক সদস্য জানান, দেড় বছর আগে করে ছাড় পাওয়ার জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছিল। এখন তার অনুমতি মিলেছে।
চলতি সপ্তাহেই পতঞ্জলির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পতঞ্জলি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যেই পতঞ্জলির সমস্ত শাখা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঋণমুক্ত করা হবে। আরও পড়ুন: ‘সারাজীবনের মতো ক্ষত তৈরি হয়ে গেল’, অপহরণের তত্ত্বকেই মান্যতা ‘পলাতক’ চোকসির