Parliamentary Panel on Cryptocurrency: ‘ক্রিপ্টো বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে নজরদারি প্রয়োজন’; বলছে সংসদীয় প্যানেল

Cryptocurrency in India: আজ বৈঠকে বসেছিল সংসদের অর্থনীতি বিষয়ক প্যানেল। বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ক্রিপ্টো অর্থনীতি।

Parliamentary Panel on Cryptocurrency: 'ক্রিপ্টো বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে নজরদারি প্রয়োজন'; বলছে সংসদীয় প্যানেল
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে দ্রুত বিল আনতে পারে সরকার (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 9:25 PM

নয়া দিল্লি: ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার ক্রমেই বড় হচ্ছে ভারতে। অনেকেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করছেন। অনলাইনে বেশ কিছু ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জও এসে গিয়েছে ভারতীয় বাজারে। শুধু বিটকয়েনই নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে ইথার কিংবা ডগিকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিও ভারতীয় বাজারে নিজের জায়গা তৈরি করতে শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে আজ বৈঠকে বসেছিল সংসদের অর্থনীতি বিষয়ক প্যানেল। বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ক্রিপ্টো অর্থনীতি।

আজ বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহার সভাপতিত্বে সংসদের অর্থনীতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি বৈঠকে বসেছিল ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এবং ব্লক চেন অ্যান্ড ক্রিপ্টো অ্যাসেট কাউন্সিলের (BACC) প্রতিনিধিদের সঙ্গে। আজ সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে বলা হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আটকে রাখা যাবে না। তবে এটির উপর নজরদারি ব্যবস্থা করা দরকার। বৈঠকে সাংসদরা বলেন, বিনিয়োগকারীদের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাটা সবথেকে বড় উদ্বেগের বিষয়। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এল সালভাদর ছাড়া আর কোনও দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইনত বৈধ ঘোষণা করেনি।

ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য অর্থ মন্ত্রক ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেছে। উল্লেখ্য, এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সম্প্রতি বলেছিলেন, “ক্রিপ্টো এই মুহূর্তে আর্থিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে আমাদের কাছে গুরুতর উদ্বেগের একটি বিষয়। কীভাবে সমস্যাটি মোকাবিলা করতে হবে – তা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের বিশদ পরামর্শ দিয়েছি। যতদূর আমি জানি, বিষয়টি নিয়ে সরকার সক্রিয় আলোচনা চালাবে এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।”

ভারতে ক্রিপটোকারেন্সির বাজার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। বিটকয়েন, ইথেরিয়ামের মতো ক্রিপটোকারেন্সিগুলিতে বিনিয়োগও করছেন অনেকে। লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, চলতি বছরের শেষে ১ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্তও উঠে যেতে পারে বিটকয়েনের বাজারদর।

যত সময় যাচ্ছে, ক্রিপটোকারেন্সি তত মূল স্রোতে আসতে শুরু করেছে। বিশ্বজুড়়ে অনেক সংস্থাই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপটোকারেন্সিকে ব্যবহার করছে। উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর এল সালভাদর স্বাগত জানিয়েছে বিটকয়েনকে। এখন  এল সালভাদরে সরকারি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায় বিটকয়েনকেও।

আগামী দিনগুলিতে বিটকয়েন সহ অন্যান্য ক্রিপটোগুলির দিকে নিষ্পলক নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে এল সালভাদর ক্রিপটোকে তাদের সরকারি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করার পর থেকে ইতিহাসের সবথেকে বড় পরীক্ষার মুখে বিটকয়েন। এখন কেন্দ্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ক্রিপ্টোয় বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন : Amazon-Marijuana: অ্যামাজ়নেই গাঁজার ‘ডেলিভারি’, মধ্য প্রদেশ পুলিশের হাতে মাদক পাচারের বড় ব়্যাকেট