করোনা আবহে ঋণ মুকুব নিয়ে বড়সড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
গত বছর আবেদনের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট
নয়া দিল্লি: ঋণ পরিশোধের কিস্তির (Loan Moratorium) সময় আর বাড়ানো সম্ভব নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হলফনামার ভিত্তিতে এই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ঋণ পরিশোধের কিস্তিতে সুপ্রিম কোর্ট যে সময় দিয়েছিল, সেই সময়ও যেমন বাড়ানো যাবে না, তেমনই ঋণের সুদও সম্পূর্ণ মুকুব করা যাবে না। এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়েছে কেন্দ্রের ঋণ পরিশোধেরএ এই নীতির সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট।
করোনা বিপর্যয়ের ফলে ঋণ পরিশোধের কিস্তিতে সময় চেয়ে ও সুদ মুকুবের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঋণ গ্রহীতারা। একাধিক কর্পোরেট সংস্থাও সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করেছিল। সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, ঋণ পরিশোধের কিস্তির সময় বাড়ানো যাবে না। যার ফলে আপাত স্বস্তিতে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, করোনা বিপর্যয়ের সময় ঋণ গ্রহীতাদের পাশপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ব্যাঙ্কগুলিও।
গত বছর আবেদনের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধের সময় ৬ মাস বাড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে সেই সময় সুদ ও কিস্তি দিতে হয়নি ঋণগ্রহীতাদের। সেই বকেয়া সুদের ওপর ফের সুদ বসিয়েছে ব্যাঙ্ক। এই সুদের পরিমাণ মূল্যায়ণ সংস্থা আইসিআরএর হিসেব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই সুদের ওপর সুদ (কম্পাউন্ড) মুকুব করা গেলেও ৬ মাসের পেনাল সুদ মুকুব করা যাবে না। এর কারণ হিসেবে ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, করোনা আবহে সেভাবে বাড়েনি ব্যাঙ্কের আয়, তাই পেনসন প্রাপক ও বিভিন্ন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সুদ দিতে হলে ব্যাঙ্কেরও ঋণের সুদ প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ফলে ৬ মাসের পেনাল সুদ দিতে হবে ঋণ গ্রহীতাদের। যার ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনেকের কপালে। দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলিও কিছুটা চিন্তায়।
ঋণ পরিশোধের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সুদ না জমা পড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক একটি হলফনামা জমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। যেখানে তারা জানিয়েছিল, ঋণ পরিশোধের ৬ মাস পরও সুদ জমা না পড়ায় বাজারে নগদের জোগানে সমস্যা হতে পারে। তাই আর ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি বা সম্পূর্ণ ঋণ মুকুব কোনওটাই সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্ট এই পর্যবেক্ষণ জানানোর পর খুশি দেশের ব্য়াঙ্কগুলি। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। বেড়েছে ব্যাঙ্কের শেয়ার সূচকগুলি।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দর্শকাসন, খেলা দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি শতাধিকের