Adani Group: ‘প্রাথমিকভাবে দামের হেরফের ঘটানোর প্রমাণ নেই’, সুপ্রিম কোর্টে কমিটির রিপোর্টে স্বস্তি আদানির

Supreme Court Expert Committee report on Adani Group: শুক্রবার (১৯ মে), আদানি গোষ্ঠীকে আপাতত ক্লিন চিট দিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের তদন্তের জন্য এই কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কমিটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আদানি গোষ্ঠী স্টক মার্কেটে কোনও 'প্রাইস ম্যানিপুলেশন' বা দামের হেরফের করেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

Adani Group: 'প্রাথমিকভাবে দামের হেরফের ঘটানোর প্রমাণ নেই', সুপ্রিম কোর্টে কমিটির রিপোর্টে স্বস্তি আদানির
আদানি গোষ্ঠীকে আপাতত ক্লিন চিট সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2023 | 5:21 PM

নয়া দিল্লি: অবশেষে স্বস্তিতে আদানি গোষ্ঠী। শুক্রবার (১৯ মে), আদানি গোষ্ঠীকে আপাতত ক্লিন চিট দিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের তদন্তের জন্য এই কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই কমিটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আদানি গোষ্ঠী স্টক মার্কেটে কোনও ‘প্রাইস ম্যানিপুলেশন’ বা দামের হেরফের করেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র পক্ষ থেকেও কোনও রকম নিয়ন্ত্রক ব্যর্থতা ছিল বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তবে, সেবি সন্দেহ করছে যে আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ করা ১৩টি বিদেশি তহবিলের, প্রোমোটারদের সঙ্গে যোগ থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটি আরও জানিয়েছে যে, আদানি গোষ্ঠী খুচরো বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। তাদের সেই সকল পদক্ষেপে মানুষের স্টকের প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর স্টক এখন স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তারা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির অভিযোগ করেছিল। স্টক মার্কেটে আদানি গোষ্ঠী তাদের স্টকের দামে হেরফের ঘটায় বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, আদানি গোষ্ঠী বিদেশে থাকা বিভিন্ন সংস্থার অনুপযুক্ত ব্যবহার করে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই হুহু করে পড়ে গিয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার স্টকের মূল্য। আদানি গোষ্ঠীতে লগ্নিকারী সংস্থার স্টকের মূল্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়বস্তুও হয়ে ওঠে। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগগুলির তদন্তে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সংসদ উত্তাল করেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে আদানি গোষ্ঠীকে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। তবে, এদিন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি সাফ জানাল, প্রাথমিকভাবে আদানি গোষ্ঠী কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে কমিটি বলেছে –

– আদানি গোষ্ঠী সমস্ত সুবিধাভোগী মালিকদের নাম প্রকাশ করেছে

– আদানিদের ঘোষিত সুবিধাভোগী মালিকদের নামের তালিকা সেবির পক্ষ থেকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়নি

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর আদানির খুচরো শেয়ারহোল্ডিং-এর পরিমাণ বেড়েছে

– হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর বিভিন্ন সংস্থা শর্ট সেলিং করে লাভবান হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত করা দরকার

– প্রাথমিকভাবে বিদ্যমান নিয়ম ও আইনের কোনও লঙ্ঘন হয়নি

– সেবির তদন্তের চলছে বলে এই রিপোর্টে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে

– এখনও ১৩টি বিদেশি সত্ত্বা এবং ৪২ জন অবদানকারীর সম্পদের বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য নেই সেবির কাছে, তাদের সময়ে তদন্ত শেষ করতে হবে

– হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর ভারতীয় স্টক মার্কেট অস্থিতিশীল হয়নি

– আদানিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তাদের স্টক স্থিতিশীল করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে