Inflation: বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার কালো ছায়া, এই নীতি মানলেই বিপদ এড়াতে পারে ভারত, জানাল RBI

RBI on Global Inflation: রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র জানান, যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কমানো হয় এবং সরবরাহ চেইনের উপরে তৈরি চাপ কমানো হয়, তবে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

Inflation: বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার কালো ছায়া, এই নীতি মানলেই বিপদ এড়াতে পারে ভারত, জানাল RBI
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 2:00 PM

নয়া দিল্লি: অর্থনীতির হাল সামলাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে একের পর এক অত্য়াবশ্যকীয় পণ্যের। আর গৃহস্থের উপরে ক্রমেই বাড়ছে সেই মূল্যবৃদ্ধির চাপ। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই মুদ্রাস্ফীতির এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মন্দা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। বেশ কিছু বড় দেশে এই মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক মন্দার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তে চলেছে। তবে বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ এখনও খোলা রয়েছে ভারতের সামনে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে এমনটাই জানানো হল।

সম্প্রতিই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে স্টেট অব ইকোনমি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছে। এর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে চলেছে। তবে এই মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় রয়েছে ভারতের কাছে। এর জন্য কঠোর কোনও নীতিও অনুসরণ করতে হবে না কেন্দ্রীয় সরকারকে।

রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র জানান, যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কমানো হয় এবং সরবরাহ চেইনের উপরে তৈরি চাপ কমানো হয়, তবে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই নীতি অনুসরণ করা হলে যদি দেশের অর্থনীতির উপরে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়ে, তবুও সেই প্রভাব খুব একটা গুরুতর হবে না।

আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৪১ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুন মাসেই মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতেও জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.০১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক। এর আগে মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.০৪ শতাংশ, এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৭.৭৯ শতাংশ।

আরবিআই-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার প্রভাব কতটা পড়ছে, তার উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ভারতের অর্থনীতি যেহেতু কৃষিনির্ভর, তাই চলতি বর্ষাকালের উপরে আগামী মাসগুলিতে অর্থনীতির কী অবস্থা থাকবে, তা নির্ভর করছে। দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশজুড়েই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে, চাষের ফলনও ভাল হবে। আর ফলন ভাল হলে, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জোগান থাকবে, যার জেরে মূল্যবৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম যদি কমানো যায়, তবে দেশের দেশের অর্থনীতিতে কু-প্রভাবের বদলে, মন্দার বাজারে অগ্রগতি আরও তরাণ্বিত হবে।