RBI Monetary Policy: অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে আরও কিছুটা সময় দিল RBI, অষ্টম দফাতেও অপরিবর্তিতই রইল রেপো রেট
Repo Rate Unchanged for 8th Time: গত বছরের মার্চ মাস মাসে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আছড়ে পড়ার পরই রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ এবং ৩.৩৫ শতাংশে কমানো হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও কিছুটা সময় দিতে চায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যঙ্ক (Reserve Bank of India)। সেই কারণেই অষ্টম দফাতেও রেপো রেট (Repo Rate) ও রিভার্স রেপো রেট (Reverse Repo Rate) অপরিবর্তিতই রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। মনিটারি পলিসি কমিটি(Monetary Policy Committee)-র বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (Shaktikanta Das)।
এ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, এই দফাতেও রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছে মনিটারি পলিসি কমিটি। বর্তমানে রেপো রেট ৪ শতাংশেই অপরিবর্তিত রইল এবং রিভার্স রেপো রেটও ৩.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হল। এই নিয়ে আট দফা রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকল।
Monetary Policy stance remains accommodative as long as necessary to revive and sustain growth and mitigate the impact of COVID19 pandemic while ensuring inflation remains within the target: RBI Governor Shaktikanta Das pic.twitter.com/xAEiPcxSJO
— ANI (@ANI) October 8, 2021
উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাঁকে রেপো রেট বলে। অন্যদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে অন্যান্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে।
গত বছরের মার্চ মাস মাসে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আছড়ে পড়ার পরই রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ এবং ৩.৩৫ শতাংশে কমানো হয়েছিল।লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি যে বিপুল ধাক্কার মুখে পড়েছিল, তা সামাল দিতেই রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছিল।
Reserve Bank of India keeps repo rate unchanged at 4%, maintains accommodative stance; reverse repo rate remains unchanged at 3.35% pic.twitter.com/pl7rH35hRl
— ANI (@ANI) October 8, 2021
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “করোনা প্যানডেমিকের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতির যতদিন সময় লাগবে, ততদিন মনিটারি পলিসি কমিটির অবস্থান একই থাকবে। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিও লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই রাখার চেষ্টা করা হবে।”
অর্থনীতির বর্তমান হাল সম্পর্কে তিনি বলেন, “দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গতবারের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের সময় অর্থনীতির যা অবস্থান ছিল, বর্তমানে তা থেকে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বৃদ্ধির হার যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অনুকূল রয়েছে। অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলিতে স্থিতিশীলতা এনে স্বাভাবিক সময়ের ফেরার আশাই করা হচ্ছে।”
জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে তিনি জানান, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিডিপির ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে। এরমধ্যে অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ভাগে ৭.৯ শতাংশ বৃদ্ধি, তৃতীয় ভাগে ৬.৮ শতাংশ ও চতুর্থ ভাগে ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ভাগে জিডিপি ১৭.২ শতাংশ অবধি বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সবথেকে বড় উদাহরণ হল দেশের পরিষেবা ক্ষেত্রে লাগাতার বৃদ্ধি। দেশের অন্দরেই চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ায় এবং করোনার বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হওয়ার পর প্রায় এক বছর বাদে গত মাস থেকেই একাধিক সংস্থা ফের কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে।