Railway Stocks: কিছুদিনের মধ্যেই চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে কিছু সংস্থার শেয়ার দর, নেপথ্যে কিন্তু বড় ভূমিকা ভারতীয় রেলের
Railway Stocks: টিটাগড় ওয়াগন পেয়েছিল ২৪,১৭৭ ইউনিটের সবথেকে বড় অর্ডার। ২০,০৬৭ ইউনিটের বরাত পেয়েছিল টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজের ৩,৭৭৬.৩৫ কোটি টাকায় ৯,২৪২টি ওয়াগন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে সেখানেই।
কলকাতা: কয়েকমাস আগে দেখা গিয়েছিল একটানা ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু, তারপরে ফের পতন। এরইমধ্যে আবারও রেল খাতের কিছু শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে ভারতীয় রেল একটি বড় অর্ডার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রেলের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতীয় রেলের ৩১,৪১৮ কোটি টাকার ওয়াগন ক্রয়ের পরিকল্পনা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যে সংস্থাগুলিকে বরাত দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সংস্থা লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই নতুন করে অর্ডার দিতে হচ্ছে সরকারকে।
তথ্য বলছে, ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সাতটি সাপ্লায়ারকে ৭৯, ৮০০টি ওয়াগনের অর্ডার দিয়েছিল। টিটাগড় ওয়াগন, টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিজ, কমার্শিয়াল ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড বডি বিল্ডার্স (এখন জুপিটার ওয়াগনস), ওরিয়েন্টাল ফাউন্ড্রি, বেস্কো এবং মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ পেয়েছিল বরাক। প্রতি ইউনিট পিছু দেওয়া হচ্ছিল প্রায় ৩২ থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা।
টিটাগড় ওয়াগন পেয়েছিল ২৪,১৭৭ ইউনিটের সবথেকে বড় অর্ডার। ২০,০৬৭ ইউনিটের বরাত পেয়েছিল টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজের ৩,৭৭৬.৩৫ কোটি টাকায় ৯,২৪২টি ওয়াগন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত ৭১টি ওয়াগন সরবরাহ করতে পেরেছে। মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ বলেছে ক্রমাগত কর্মী বিক্ষোভের জেরে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাতেই বেড়েছে সমস্যা। আর এখানেই বিপাকে পড়েছে রেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেল মন্ত্রকের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানাচ্ছেন, ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য ওয়াগন সরবরাহকারীদের কাছে অর্ডার দেওয়া হবে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, রেলওয়ে হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে আরও ৩৪৩টি ওয়াগন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংস্থার কাছে মোট অর্ডারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০৬। অচিরেই ঘাটতি মেটাতে আরও বেশ কিছু সংস্থাকে নতুন বরাত দেওয়া হতে পারে বলে ধরনা ওয়াকিবহাল মহলের। আর সেটা হলে সেই রেল খাতের এই সব সংস্থাগুলির শেয়ার দর যে নতুন করে বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।