Budget Expections: ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে মোহ ভাঙছে বিনিয়োগকারীদের, আশার আলো কি দেখাবে নির্মলার বাজেট

Union Budget: বিনয়ের কথাই ধরা যাক। নয়ডায় এক বেসরকারি সংস্থার কর্মরত। কর বাঁচাতে প্রতি বছর তিনি পিপিএফ-এর মতো স্বল্প সঞ্চয়ের স্কিমে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এখন আর তাঁর মন টিকছে না তাঁর পিপিএফ-এ। মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে তাঁর। পিপিএফ-এ বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে আসবেন কি না, সেই নিয়ে দোটানায় রয়েছেন।

Budget Expections: ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে মোহ ভাঙছে বিনিয়োগকারীদের, আশার আলো কি দেখাবে নির্মলার বাজেট
নির্মলা সীতারমনImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Jan 31, 2024 | 9:00 AM

নয়া দিল্লি: সামনেই বাজেট। লোকসভা ভোটের মুখে এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়, অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু তাতে কী! বাজেট ঘিরে আশা-আকাঙ্ক্ষার অন্ত নেই আমজনতার। এই যেমন বিনয়ের কথাই ধরা যাক। নয়ডায় এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কর বাঁচাতে প্রতি বছর তিনি পিপিএফ-এর মতো স্বল্প সঞ্চয়ের স্কিমে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এখন আর তাঁর মন টিকছে না পিপিএফ-এ। মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে তাঁর। পিপিএফ-এ বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে আসবেন কি না, সেই নিয়ে দোটানায় রয়েছেন।

কারণও আছে অবশ্য। নতুন কর ব্যবস্থায় পিপিএফ-এর মতো ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে কোনও কর ছাড় নেই। এদিকে আবার গত প্রায় বছর চারেক ধরে পিপিএফ-এর উপর সুদের হারে কোনও বদলই আসছে না। ২০২০ সালের জুনের ত্রৈমাসিক থেকে অপরিবর্তিত রয়ে গিয়েছে। সেখানে ব্য়াঙ্কের স্থায়ী আমানত হোক, কিংবা সোনায় বিনিয়োগ বা শেয়ারে, মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা ঢালাকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে। ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটে একটি সুনিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। আবার কেউ একটু ঝুঁকি নিয়ে শেয়ারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে, দুর্দান্ত রিটার্নও পেয়ে যাচ্ছেন। এসব দেখে শুধু বিনয়েরই নয়, তাঁর মতো লাখ লাখ বিনিয়োগকারী দোটানার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। তাঁদেরও মোহভঙ্গ হচ্ছে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগের থেকে।

গত কয়েকটা অর্থ বর্ষে জিডিপির অনুপাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের বিনিয়োগ যেভাবে ক্রমহ্রাসমান অবস্থায় রয়েছে, তা দেখেই এই ট্রেন্ড কিছুটা অনুমান করা যায় যায়। যেমন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ১.৫৪ শতাংশ। এরপর ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটা কমে হয়েছে ১.৪২ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে অর্থাৎ, ২০২২-২৩ সালে সেটা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১.১২ শতাংশে।

ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিনয়ের মতো যাঁরা এখনও পিপিএফ-এর মতো ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এক অদ্ভুত দোটানার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। বুঝে উঠতে পারছেন না, অন্য কোনও বিনিয়োগের অপশন বেছে নেবেন, নাকি এটাই চালিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, সেগুলিতে ভাল রিটার্ন মিললেও, সেই টাকা যখনই তুলবেন, তখনই তার উপর কর ধার্য্য হবে। সোনা হোক বা শেয়ার কিংবা মিউচুয়াল ফান্ড, সবক্ষেত্রেই প্রাপ্ত রিটার্নের উপর কর দিতে হবে। এমনকী ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।

এমন অবস্থায় বিনয়ের মতো প্রচুর বিনিয়োগকারী আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে। তাঁরা আশায় রয়েছেন, হয়ত এবার যাঁরা এই ধরনের সঞ্চয় করেন, তাঁদের উপর থেকে আয়করের মাত্রা কমিয়ে আনবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যদি শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র এই সিদ্ধান্তে আসে, তাহলে শুধু সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে উৎসাহই বাড়বে না, সঙ্গে ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমের আওতায় সরকারের কাছে জমা হওয়া মূলধনের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।