ONGC-র কেজি তেল, গ্যাস প্রকল্পে দেরী, ১৮,০০০ কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রার লোকসান দেশের

ONGC: ক্লাস্টার-২ থেকে ৪৭,০০০ ব্যারেল প্রতিদিন অর্থাৎ ২০ লাখ টন প্রতি বছর তেল নিকাশি এবং গ্যাস উৎপাদন ৬০ লাখ ঘন মিটার প্রতিদিন বা ২.২ বিলিয়ন ঘন মিটার প্রতি বছর হওয়ার অনুমান রয়েছে। উৎপাদনে দেরীর কারণে সব মিলিয়ে দেশকে ১৮,০০০ কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রা খরচা করতে হবে।

ONGC-র কেজি তেল, গ্যাস প্রকল্পে দেরী, ১৮,০০০ কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রার লোকসান দেশের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 3:48 PM

নতুন দিল্লি: এই সময়, যখন অপরিশোধিত তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, সার্বজনিক ক্ষেত্রের বড় কোম্পানি ওএনজিসির লক্ষ্যহীন পরিকল্পনা আর ‘শো-পিস’ হয়ে যাওয়া গভীর জলের কেজি-ডি৫ ব্লককে বিকশিত করার অব্যবস্থার দাম চোকাতে হচ্ছে দেশকে এ কথা জানিয়েছেন সরকারি আধিকারীকেরা। তাঁদের বক্তব্য তেল আর গ্যাসের উৎপাদনে দেরীর কারণে দেশকে ১৮,০০০ কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রার লোকসান হবে।

২০২০-র মার্চে শুরু হওয়ার কথা ছিল তেল উৎপাদনের

শুরুতে ওএনজিসির ২০১৯ এর জুন মাস থেকে কেজি ডিডব্লিউএন-৯৮/২ (কেজি-ডি৫) ব্লকে ক্লাস্টার-২ থেকে গ্যাস উৎপাদন করার খথা ছিল আর তেলের উৎপাদন ২০২০-র মার্চ মাস থেকে শুরু করার কথা ছিল। এই ব্যাপারে সরাসরি তথ্য জানা দুই আধিকারীক না নাম ছাপার শর্তে বলেছেন, এই লক্ষ্যকে চুপচাপ ২০২১-এর শেষ পর্যন্ত স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কিছু টেন্ডার দিতে দেরী হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এরপর ইন্টারফেসের সঙ্গে যুক্ত কিছু সমস্যার করাণে এই প্রকল্পকে আরও পেছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

২০২৩-এর মে মাস নাগাদ পাওয়া যাবে প্রাকৃতিক গ্যাস

ওই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অপরিশোধিত তেলের সংশোধিত লক্ষ্য এখন নভেম্বর ২০২১ এর জায়গায় ২০২২ এর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতীয় তটগুলিতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে প্রাকৃতিক গ্যাসও ২০২৩ এর মে মাস নাগাদ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদিও লক্ষ্য ছিল ২০২১ এর মে মাস।

প্রতি বছর ২০ লাখ টন তেল নিকাশি

ওই দুই আধিকারীক আরও জানিয়েছেন, ক্লাস্টার-২ থেকে ৪৭,০০০ ব্যারেল প্রতিদিন অর্থাৎ ২০ লাখ টন প্রতি বছর তেল নিকাশি এবং গ্যাস উৎপাদন ৬০ লাখ ঘন মিটার প্রতিদিন বা ২.২ বিলিয়ন ঘন মিটার প্রতি বছর হওয়ার অনুমান রয়েছে। এইভাবে উৎপাদনে দেরীর কারণে সব মিলিয়ে দেশকে ১৮,০০০ কোটি টাকার বিদেশী মুদ্রা খরচা করতে হবে। তবে ওএনজিসি তৎকাল এই খবরে কোনও মন্তব্য করেনি। কিন্তু ওএনজিসির চেয়ারম্যান এবং ম্যানিজিং ডিরেক্টর সুভাষ কুমার শনিবার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একটি কথাবার্তা চলাকালীন বলেছেন, এই প্রকল্প ‘সরবরাহ শৃঙ্খলায় ব্যবধান’-এর কারণে প্রভাবিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উৎপাদন শুরু হওয়ার কোনও কোনও নির্দিষ্ট সময়রেখা তিনি জানাতে পারবেন না, কারণ মালেশিয়া আর সিঙ্গাপুরে মহামারী সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যে কারণে এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সরবরাহতে দেরী হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Digital Gold নিয়ে সরকার নিতে পারে বড় সিদ্ধান্ত, SEBI আর RBI তৈরি করছে মাস্টার প্ল্যান