Interior Designing: ঘরের ভোল বদলে যায় আপনার ছোঁয়ায়? লাখ টাকা উপার্জন করতে পারেন এই গুণেই
Interior Designing: ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের চাহিদা বর্তমান সময়ে তুঙ্গে। আর সেই কারণেই এই শাখায় কেরিয়ার তৈরি করা অত্যন্ত লাভজনক।
নয়া দিল্লি: জীবন অগোছালো হলেও, ঘর একটু সাজানো-গোছানো রাখতেই পছন্দ করেন প্রায় সকলেই। অনেকের মধ্যেই আবার এই গুণ থাকে যে অতি সাধারণ জিনিসপত্র ব্যবহার করেই ঘরবাড়িকে অত্যন্ত সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারেন। আপনার মধ্যেও কি এই সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে? যদি থাকে, তবে আপনার জন্য় সামনে অপেক্ষা করছে এক সুন্দর কেরিয়ার, যেখানে প্রতি কাজ পিছুই আপনি লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের চাহিদা বর্তমান সময়ে তুঙ্গে। আর সেই কারণেই এই শাখায় কেরিয়ার তৈরি করা অত্যন্ত লাভজনক। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং বর্তমানে আর কোনও বদ্ধ জায়গাকে সাজিয়ে তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়ে চলেছে।
বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং আর অফিস বা ঘর সাজানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কাজের বিশেষত্ব অনুযায়ী একাধিক শাখাও তৈরি হয়ে গিয়েছে ডিজাইনিংয়ের। এই শাখাগুলি হল-
১. কমার্শিয়াল ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং-
অফিস, রেস্তরাঁ, হোটেল, বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, স্টুডিয়ো, দোকান, বুটিক, মিউজিয়াম, ব্যাঙ্ক, স্কুল ও লাইব্রেরির মতো প্রতিষ্ঠানের অন্দর ও বহিঃসজ্জার দায়িত্ব থাকে কমার্শিয়াল ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের উপরে। এই কাজের ক্ষেত্রে আর্কিটেক্ট, নির্মাণকর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে হয়।
২. সাস্টেনেবল ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং-
ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় শাখা হল সাস্টেনেবল ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে সকলেই চান সুস্থ ও সবুজ পরিবেশে থাকতে, যা সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধবও হবে। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে সাস্টেনেবল ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং। এই ধরনের ডিজাইনিংয়ে অল্প জায়গাকেই বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা, কম শক্তি খরচ করে বিদ্যুৎ-জলের ব্যবস্থা এবং পুনর্নবিকরণের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
৩. ইন্টেরিয়র ডেকোরেটর-
ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসাল্টেন্ট হিসাবে কোনও আর্কিটেক্ট বা ডিজাইনিং কনসাল্টিং ফার্মে কাজ করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট ফার্মও গ্রাহকদের কাছে কোনও ফ্ল্যাট বা বাড়িকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও ডেকোরেটরদের সাহায্য নেন। এছাড়া বিভিন্ন আবসাব সামগ্রী নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে যেমন কাজ করতে পারেন, তেমনই আবার এককভাবেও ডিজাইনিংয়ের কাজ করতে পারেন।
৪. লাইটিং ডিজাইনিং-
ঘর বা অফিসের ভোল বদলে দিতে পারে সামান্য লাইট। কোন জায়গায় কী লাইট ব্যবহার করা হবে তা স্থির করাই লাইটিং ডিজাইনারের কাজ। বাড়ি বা ফ্ল্যাটের লাইটিং কেমন হবে, তা যেমন স্থির করেন ডিজাইনাররা, তেমনই আবার ফোয়ারা, পার্ক, বিভিন্ন স্মৃতিসৌধকেও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য লাইটিং ডিজাইনারদেরই সাহায্য নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে লাইট ও তার বিভিন্ন ধরন, কোন ক্ষেত্রে কী লাইট ব্যবহার করা হয়, সেই বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
৫. রেসিডেনশিয়াল ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং-
একটি আবাসন তৈরি করতে যেমন নির্মাণকারী, ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তেমনই প্রতিটি ঘরের ভিতরের সাজসজ্জা কেমন হতে পারে, তা স্থির করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররাই। বিভিন্ন ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ফার্ম, আর্কিটেক্টচার ফার্মে ডিজাইনারদের নেওয়া হয় এই কাজের জন্য।