Dilip Ghosh: পারদ চড়ছে পুরভোটে! মধ্যমগ্রামে দিলীপকে ঘিরে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

Municipal Elections 2022: দিলীপ বাবু বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব না দিয়ে একেবারে নিজস্ব ভঙ্গিমায় সাফ কথা বলে দিয়েছেন, "কেউ বন্দেমাতরম বলছেন, কেউ আবার জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছেন। সেটা ভাল। তৃণমূলের কাছ থেকে এর থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।"

Dilip Ghosh: পারদ চড়ছে পুরভোটে! মধ্যমগ্রামে দিলীপকে ঘিরে উঠল 'জয় বাংলা' স্লোগান
মধ্যমগ্রাম পুরভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 7:20 PM

মধ্যমগ্রাম : ভোটের বাংলায় বাড়ছে রাজনীতির পারদ। চলছে তপ্ত বাক্য বিনিময়। আর তারই মধ্যে এবার দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে পুরভোটের (Municipal Elections 2022) প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সময়ই তাঁকে ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান তোলেন এক দল ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিরা তৃণমূল সমর্থক। এদিকে মধ্যমগ্রামের ওই প্রচার ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে দিলীপ বাবু বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব না দিয়ে একেবারে নিজস্ব ভঙ্গিমায় সাফ কথা বলে দিয়েছেন, “কেউ বন্দেমাতরম বলছেন, কেউ আবার জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছেন। সেটা ভাল। তৃণমূলের কাছ থেকে এর থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।”

সামনেই মধ্যমগ্রামে পুরভোট রয়েছে। হাতে আর সপ্তাহ দেড়েক সময় বাকি। জোরকদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে উভয় শিবির। শুক্রবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরনির্বাচনের জন্য প্রচারে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাস্তায় হেঁটেই প্রচার সারছিলেন বিজেপি প্রার্থীদের জন্য। কিন্তু প্রচারে বেরিয়ে হঠাৎই বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেতা। তাঁকে ঘিরে জয় বাংলা স্লোগান তুলতে থাকেন স্থানীয়দের একাংশ। এলাকায় ওই ব্যক্তিরা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলেই পরিচিত। পরে বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সবাই আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে। কেউ বন্দেমাতরম, ভারত মাতা বলছে, আবার কেউ জয় বাংলা বলছে। অন্তত স্বাগত করছেন সকলেই। এটাই খুশির ব্যাপার।”

রাজনৈতিকভাবে জয় বাংলা স্লোগানটি তৃণমূলের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি নেতা বলেন, “এটা তৃণমূল সব জায়গাতেই করে। আমাদের নেতারা বেরোলেই ওরা খুব উৎসাহ পায়। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীকে আটকেছিল। আমাদের সভাপতিকে আটকায়। আমাকে আটকায়। স্লোগান দেয়।” এরপর কিছুটা বিদ্রুপের সুরেই তিনি বলেন, “ওদের নেতাদের তো খুঁজে পায় না। সব তো কাটমানি খোর। বিজেপির নেতাদের দেখে লোকে যেমন উৎসাহিত, ওরাও তেমন উৎসাহিত।” কেন এভাবে জয় বাংলা স্লোগান উঠল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : TMC Working Committee: জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসার আগে মমতা-অভিষেক একান্ত আলোচনা! বাড়ছে কৌতুহল