Manipur Election: আফস্পা কাঁটা অতিক্রম করে মণিপুরের ক্ষমতা ধরে রাখাই বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ
এই মুহূর্তে ৬০ আসনের মনিপুর বিধানসভায় বিজেপির ২৭ জন বিধায়ক রয়েছে। ইতিমধ্যে পড়শি নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হওয়া সেই প্রভাবও মণিপুরের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখান্ড, গোয়া, পঞ্জাব ও মণিপুরের ভোটাররা নিজেদের নির্বাচনী অধিকার প্রয়োগ করবেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এবারের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এই মুহূর্তে ৬০ আসনের মনিপুর বিধানসভায় বিজেপির ২৭ জন বিধায়ক রয়েছে। ইতিমধ্যে পড়শি নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হওয়া সেই প্রভাবও মণিপুরের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ নাগাল্যান্ডের ঘটনার পর, ইতিমধ্যেই আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিস তুলেছেন অনেকে। সেই দাবি যে উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে, এবং সেই দাবি জোরালো হলে বিজেপির জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ
আফস্পা ইস্যুকে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার করে ২০১৭ সালে নির্বাচনের ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। উত্তর পূর্বের বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংও আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। দেশের উত্তর পূর্বে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই আফস্পা আইন বলবৎ হয়েছিল। এই আইনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা বাহিনীর হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসার পরই উত্তর পূর্বের রাজনীতিতে এই আইন একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলা বাহুল্য, নাগাল্যান্ডে সেনাবাহিনীর হাতে ১৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মণিপুরে আফস্পা প্রত্যাহার প্রধান ইস্যু হিসেবে উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল। এমন হলে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে বিজেপি।
আফস্পা প্রত্যাহারে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি
৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভা প্রধান লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। এই রাজ্যে কংগ্রেসেরও দখলেও ১৫ টি আসন রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই আফস্পাকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি, তারা ক্ষমতায় এলেই সঙ্গে সঙ্গে মণিপুর থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে। কংগ্রেসে মুখপাত্র নিংওম্বাম বুপেনদা মেইতেই জানিয়েই দিয়েছেন, মণিপুরের মানুষ যদি কংগ্রেসের ওপর আস্থা রাখে তবে, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করা হবে।
কার দখলে যাবে মসনদ?
একদিকে কংগ্রেস যেমন আফস্পা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, অন্যদিকে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষায় উঠে এসেছে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি- ২৯ থেকে ৩৩ আসন, কংগ্রেস ২৩ থেকে ২৭ আসন এবং এনপিএফ ২ থেকে ৬ টি আসন পেতে পারে। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩১ ম্যাজিক ফিগার। সেই সংখ্যা আদৌ কোনও দল অতিক্রম করে পারবে কিনা না বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হবে, তা বলবে সময়।