Rahul Gandhi on Sidhu VS Channi: মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণায় ‘বুদ্ধির খেল’ রাহুলের, ধামাচাপা দিলেন চন্নি বনাম সিধুর বিরোধ!
Punjab CM Candidate: ১৩ বছর ধরে বিজেপিতে থাকলেও ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্য়োত সিং সিধু। তারপর থেকেই তিনি একাধিকবার মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রত্য়ক্ষ বা পরোক্ষভাবে। তবে কংগ্রেসে যে নেতা তৈরির একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, সে কথা বোঝাতে রাহুল গান্ধী নিজের উদাহরণই দেন।
নয়া দিল্লি: যাবতীয় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে রবিবারেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, তা ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সিধু বনাম চন্নির যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তাতে ইতি টেনে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে (Punjab Assembly Election 2022) কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে চলেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Singh Channi)-ই। তবে এই বিরোধ সামাল দেওয়া সোজা ছিল না। দুই পক্ষেরই মন রাখতে সুকৌশলী ভূমিকাই গ্রহণ করেন রাহুল। সিধুর স্বপ্নভঙ্গ করলেও, তিনি সাফ জানিয়ে দেন এই সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। রবিবার লুধিয়ানায় ভার্চুয়াল ব়্যালিতে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণার কয়েক মুহূর্ত আগেই রাহুল বলেন, “রাজনৈতিক নেতারা ১০-১৫ দিনে তৈরি হন না, টেলিভিশন চ্যানেলে বিতর্কসভায় যোগ দিলেও নেতা হওয়া যায় না।”
অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফার পর থেকেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। কিন্তু সেই সময়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই দলিত শিখ নেতা চরণজিৎ সিং চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। সেই সময়ই সিধুর ক্ষোভের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সিধু ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে আগ্রহ দেখান। অন্যান্য দলগুলির মতো কংগ্রেসেরও মুখ্য়মন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার দাবি জানান। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে প্রথমে এই সিদ্ধান্ত খারিজ করা হলেও, শেষ অবধি সিধুর দাবি মেনেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস।
আম আদমি পার্টির তরফে পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ঘোষণার জন্য় জনমত সংগ্রহ করা হয়েছিল। জনসাধারণের অনলাইন ভোটের ভিত্তিতেই ভগবন্ত সিং মানকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেসও প্রায় একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। পঞ্জাবের সাধারণ মানুষদের ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাদের কাকে পছন্দ, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।
রবিবার লুধিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে চরণজিৎ সিং চন্নির নাম ঘোষণার পরই রাহুল গান্ধী বলেন, “আমি এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি পঞ্জাবের সাধারণ মানুষ, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির যুব ও বাকি সদস্যদের কাছেই জানতে চেয়েছি…আমার নিজস্ব কোনও মত থাকতেই পারে, তবে আপনাদের মতামত আমার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্জাবীরা বলেছেন যে তাদের এমন একজনকে প্রয়োজন, যিনি গরিবদের বুঝবেন।”
১৩ বছর ধরে বিজেপিতে থাকলেও ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্য়োত সিং সিধু। তারপর থেকেই তিনি একাধিকবার মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রত্য়ক্ষ বা পরোক্ষভাবে। তবে কংগ্রেসে যে নেতা তৈরির একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, সে কথা বোঝাতে রাহুল গান্ধী নিজের উদাহরণই দেন।
তিনি বলেন, “আমি ২০০৪ সাল থেকে রাজনীতিতে রয়েছি। কিন্তু বিগত ৬-৭ বছরে আমি যা শিখেছি, তা আগেও শিখতে পারিনি। যারা ভাবেন যে রাজনীতি করা খুব সহজ, তারা ভুল ভাবেন। অনেকেই নানা মন্তব্য করতে পারেন, কিন্তু একজন নেতাকে তৈরি করা এত সহজ নয়।”
চন্নি ও সিধু- দুই নেতার মন রাখতেই রাহুল বলেন, “চন্নি দরিদ্র পরিবারে ছেলে, উনি দারিদ্রতা কী, তা জানে। ওনার মধ্যে কোনও দম্ভবোধ দেখেছেন? উনি সাধারণ মানুষের কাছে যান এবং তাদের সঙ্গে দেখা করেন। চন্নিই দরিদ্রদের কন্ঠস্বর। মোদীজী প্রধানমন্ত্রী, যোগীজী মুখ্যমন্ত্রী। আপনারা কি দেখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে কারোর সঙ্গে দেখা করতে? রাস্তায় কাউকে সাহায্য করতে? প্রধানমন্ত্রী মোদী হলেন রাজা, উনি কাউকে সাহায্য করবেন না।”
অন্যদিকে, সিধুর প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “উনি ইমোশনাল, তাতে কী হয়েছে?” সিধুও জানান যে, তিনি রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন। উনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না পেলেও, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করবেন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা