Congress on Amarinder Singh: বিরোধীদের দাবিই কি সত্যি ছিল? অমরিন্দরের বিরুদ্ধে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা
Congress on Amarinder Singh: মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সেই সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে মুখ না খোলা হলেও, নির্বাচনের মুখেই গান্ধী পরিবারের তরফে অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর কারণ জানানো হয়েছে।
নয়া দিল্লি: সিধু বনাম অমরিন্দর সিংয়ের বিরোধের জেরেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছিলেন অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস(Congress)-র বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সেই সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে মুখ না খোলা হলেও, নির্বাচনের মুখেই গান্ধী পরিবারের তরফে অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর কারণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেসে থাকাকালীনই বিরোধী দলগুলি অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন, তা যে সত্যি, কংগ্রেসের শীর্ষ মহলের এই পদক্ষেপে তা স্পষ্ট হচ্ছে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
অমরিন্দরকে দোষারোপ:
নির্বাচনী প্রচারের মাঝেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়েছিল কারণ উনি কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি মতো গরিব পঞ্জাববাসীদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার সঙ্গে চুক্তির জন্য এই পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।”
এদিকে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও বলেছিলেন যে, অমরিন্দরের নেতৃত্বে পঞ্জাব সরকারকে সরাতে বাধ্য হয়েছিলাম কারণ তা দিল্লির সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল। অমরিন্দরের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, “এটা সত্যি যে পাঁচ বছর ধরে আমাদের সরকার রয়েছে, কিন্তু এটাও সত্যি যে সরকারে কিছু খামতিও ছিল। ওই সরকার পঞ্জাব থেকে পরিচালিত হচ্ছিল না, দিল্লি থেকে বিজেপি সরকারের হাতে পরিচালিত হচ্ছিল। সেই কারণেই সরকারে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হই আমরা।” ১৫ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধীও বলেন, “অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে, এই কথা জানতে পেরেই দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় ওনাকে।”
বিরোধীদের সুরই কংগ্রেসের গলায়:
শিরোমণি আকালি দল ও আম আদমি পার্টির মতোই নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই কথা বলছে কংগ্রেস। এর আগেব ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী শিরোমণি আকালি দলের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। মোদী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সাদ নেতা হরসিমরত কৌর বাদল বলেছিলেন, “অমরিন্দর সিং বিজেপির প্রদর্শিত পথেই চলছে। তা সে কর্তারপুর করিডরই হোক বা সন্ত্রাসবাদ, বিগত পাঁচ বছরে উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একটাও কথা বলেননি।”
প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়াই কি প্রধান কারণ?
২০১৭ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া, রাজ্যকে নেশামুক্ত করা, বালিখাদান ও গণপরিবহন নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার সুরাহা করা, কৃষি ঋণ মকুব ইত্যাদি। ক্ষমতায় এলেও অমরিন্দর সিংয়ের সরকার এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করেনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিরোমণি আকালি দল, আম আদমি পার্টির পাশাপাশি কংগ্রেসের নভজ্যোত সিং সিধুও অমরিন্দর সিংকেই দোষারোপ করেছিলেন।