Encanto-Lowri-Disney: ডিজ়নির চশমা পরা হিরোইন, স্বপ্নপূরণ ছোট্ট লোরির
চশমা পরা ডিজ়নি হিরোইন চেয়েছিল ৯ বছরের লোরি। চিঠি লিখেছিল। কীভাবে তাঁর স্বপ্নপূরণ হল দেখুন।
ছোট বয়সে চশমা হলে অনেক বাচ্চারই মন খারাপ হয়। শিশু মন ভাবতে থাকে, সে যথেষ্ট সুন্দর নয়। তেমনটাই মনে হয়েছিল ছোট্ট মেয়ে লোরির। ডিজ়নিকে চিঠি লিখেছিল সে। অনুরোধ করেছিল, এমন একটি চরিত্র সৃষ্টি করতে, যে চশমা পরে। তখন কি লোরি জানত, তার ইচ্ছাপূরণ হবে ‘এনক্যান্টো’ ছবিতে। বোধহয় না।
৯ বছরের বালিকা লোরি চিঠিতে লিখেছিল, “আমার খুব একা লাগত। মনে হত আমি যথেষ্ট সুন্দর নই।” ‘এনক্যান্টো’র পরিচালক জারেড বুশের হাতে চিঠি পৌঁছেছিল তিন বছর আগে। সেসময় তিনি লোরিকে জানাতে পারেননি ছবিটি তৈরি হচ্ছে।
নটিংহামশায়ারের চিলওয়েল শহরের বাসিন্দা লোরি। চিঠি লিখেছিল যখন, তার বয়স ছিল ৯। এখন তার বয়স ১২। তিন বছর পর সুখবর পেয়েছে লোরি। ‘এনক্যান্টো’র চরিত্র মিরাবেল তারই মতো চশমা পরে। সে মজার মেয়ে ও অত্যন্ত সাহসী। মিরাবেলের সম্পর্কে জানতে পেরে বেজায় খুশি হয়েছে লোরি। সে জানিয়েছে, পরিবারে একমাত্র তারই চোখে চশমা রয়েছে। নিজেকে নিয়ে খুশি ছিল না সে। ফলে সে চিঠি লিখেছিল। আসলে এই চিঠি তো কেবল লোরির একার নয়। তার মতো আরও অনেক লোরিরা আছে, যাদের শিশু বয়সেই চোখ চশমা চাপাতে হয়েছে। তারা অনেকেই অখুশি।
ছবিটি একটি পরিবারের গল্প বলে। ‘এনক্যান্টো’ একটি জাদুর শহর। সেখানকার প্রত্যেক বাচ্চাই জাদু জানে। সেই বাচ্চাদের মধ্যে একজন মিরাবেল। মিরাবেল চশমা পরে, এক্কেবারে লোরির মতো। মিরাবেলকে দেখে লোরি বলেছে, “আমার মিরাবেলকে দারুণ পছন্দ হয়েছে। ও খুব ফানি। দারুণ মেয়ে। সাহসীও। আমি যদি চিঠি নাও লিখতাম, এটা ভেবেই খুশি হতাম, আমার মতো ছেলেমেয়েদের রোল মডেল এসেছে।”
আরও পড়ুন: Mister Mummy: ‘গর্ভবতী’ রিতেশ দেশমুখ, প্রকাশ্যে বেবি বাম্পের ছবিও