Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘জন গণ মন’- একটি রাগাশ্রয়ী গান, কবে, কোথায় প্রথম গাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রগান?

AzadiKaAmritMahotsav: ১৯৫০ সালে স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল এই গানের প্রথম স্তবক। মোট ৫২ সেকেন্ডের মধ্যে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হয়। রাষ্ট্রগান গাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে আরও বেশ কিছু নিয়ম।

'জন গণ মন'- একটি রাগাশ্রয়ী গান, কবে, কোথায় প্রথম গাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রগান?
গ্র্যাফিক্স- অভীক দেবনাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 5:58 PM

বিশ্বের যে প্রান্তেই ভারতবাসী থাকুন না কেন, জাতীয় সঙ্গীতের সুর কানে এলে ঠিক কী অনুভূতি হয়, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’-র এই অমোঘ টানের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। সঙ্গীত বিশারদদের অনেকেই হয়তো জানেন যে, এই গান রাগ প্রধান। তবে সাধারণ মানুষের কাছে, এই তথ্য কতটা পৌঁছেছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ‘আলহায়িয়া বিলাবল’ রাগের উপর ভিত্তি করেই গাওয়া হয় ‘জন গণ মন’। এই গানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে তীব্র মধ্যম স্বরে। তবে ‘জন গণ মন’-র রাগ নিয়ে মতভেদও রয়েছে। অনেকে বলেন, রাগ বিলাবলের ভিত্তিতেই নাকি গাওয়া হয় এই গান। শুদ্ধ স্বরের বাঁধনে তৈরি হয়েছে এই বিলাবল রাগ।

শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই একথা জানেন যে তীব্র মধ্যমার স্বরের সাহায্যেই সবসময় গাওয়া হয় রাগ আলহাইয়া বিলাবল। শুদ্ধ স্বরের এই রাগকেই আবার অনেকে বলেন বিলাবল। তবে এই সমস্ত মতভেদের পাশাপাশি আরও একটি তথ্য শোনা গিয়েছে যে, ‘গৌর সারঙ্গ’ রাগেও গাওয়া হয় ‘জন গণ মন’। এই রাগের কম্পোজিশনে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় তীব্র মধ্যম স্বর। রাগাশ্রয়ী গানের কম্পোজিশনের ক্ষেত্রে ‘বিবাদী স্বরের’ প্রয়োগ কিন্তু সাধারণ ঘটনা। অনেকে আবার বলেন ‘জন গণ মন’ ইমন রাগ এবং কাহারবা তালে নিবদ্ধ।

উল্লেখ্য ‘জন গণ মন’ প্রথমবার গাওয়া হয়েছিল ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। সেটি ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন। সে বার কলকাতায় আয়োজিত হয়েছিল কংগ্রেসের এই অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনেই প্রথমবার ‘জন গণ মন’ গাওয়া হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইঝি সরলা দেবী চৌধুরানী কয়েকজন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে গানটি গেয়েছিলেন। কংগ্রেসের তৎকালীন আইএনসি সভাপতি বিষাণ নারায়ণ ধর এবং ভূপেন্দ্রনাথ বসু ও অম্বিকা চরণ মজুমদারের মতো অন্যান্য নেতা-ব্যক্তিত্ব সে দিন হাজির ছিলেন কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে। এরপর ১৯৫০ সালে স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল এই গানের প্রথম স্তবক। মোট ৫২ সেকেন্ডের মধ্যে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হয়। রাষ্ট্রগান গাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে আরও বেশ কিছু নিয়ম। যেমন সংক্ষেপে গাইতে হলে প্রথম বা শেষ স্তবক গাওয়া যায়, কিন্তু ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তা গাইতে হয়। অন্য দিকে, এক মিনিটের বেশি সময় ধরে কখনই রাষ্ট্রগান বা ন্যশনাল অ্যান্থেম গাওয়া যায় না।

TV9 News Network কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্য়োগ #AzadiKaAmritMahotsav | Rashtragaan-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। আসুন, নিজের গলায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে www.rashtragaan.in-এ আপলোড করে এই মহতী উদ্য়োগে অংশগ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন- ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল ‘জন গণ মন’, স্বরলিপি রচয়িতা ছিলেন কে?

'বাবা কি কার‌ও একার হয়', শ্রীরাম নিয়ে কল্যাণের বড় কথা
'বাবা কি কার‌ও একার হয়', শ্রীরাম নিয়ে কল্যাণের বড় কথা
'দরকার পড়লে আসল অস্ত্র তুলব', রণংদেহী মেজাজে অগ্নিমিত্রা পাল
'দরকার পড়লে আসল অস্ত্র তুলব', রণংদেহী মেজাজে অগ্নিমিত্রা পাল
ওয়াকফ সম্পত্তি কী, বোঝালেন রুদ্রনীল
ওয়াকফ সম্পত্তি কী, বোঝালেন রুদ্রনীল
ঘাতক ট্রাম্পই, শুল্ক 'যুদ্ধে'র কারণে শুক্রবারই রক্তাক্ত ভারতের বাজার!
ঘাতক ট্রাম্পই, শুল্ক 'যুদ্ধে'র কারণে শুক্রবারই রক্তাক্ত ভারতের বাজার!
'কীসে মঙ্গল হয় সেটা মুখ্যমন্ত্রী জানেন', চাকরিহারাদের কী আশ্বাস দিলেন
'কীসে মঙ্গল হয় সেটা মুখ্যমন্ত্রী জানেন', চাকরিহারাদের কী আশ্বাস দিলেন
কীভাবে এগোলে হারানো চাকরি ফেরত পাবে, জানালেন শুভেন্দু
কীভাবে এগোলে হারানো চাকরি ফেরত পাবে, জানালেন শুভেন্দু
'হাই হ্যালো ছোড়ো, জয়শ্রী রাম বোলো', শুভেন্দুর নতুন শ্লোগান
'হাই হ্যালো ছোড়ো, জয়শ্রী রাম বোলো', শুভেন্দুর নতুন শ্লোগান
হাতে বিরাট অর্ডার বুক, আপনাকে মালামাল করতে পারে এই সব শেয়ার!
হাতে বিরাট অর্ডার বুক, আপনাকে মালামাল করতে পারে এই সব শেয়ার!
স্মলক্যাপে বাজি হতে পারে এই সেক্টরগুলোই!
স্মলক্যাপে বাজি হতে পারে এই সেক্টরগুলোই!
জ্যাম কাটিয়ে বাসের চেয়েও কম খরচে বাইকে চেপে অফিস, সময় বাঁচাবে EV!
জ্যাম কাটিয়ে বাসের চেয়েও কম খরচে বাইকে চেপে অফিস, সময় বাঁচাবে EV!