Rupam Islam: রূপমের গানে সঙ্গত করেছে শমীকের ব়্যাপ, প্রকাশ্যে ‘বিশাল বৃষ্টিরা’
Rupam Islam: নতুন কী কী কাজ আসছে? সে প্রসঙ্গে রূপম বললেন, “অনেকগুলো গানের ফাইনালাইজেশন করলাম, খান দশেক গান তৈরি আছে।”
বাংলা গানের খাতায় একজন অনেকগুলো চ্যাপ্টার হোল্ড করেন। রক মিউজিক তাঁর পরিচিতি। তিনি রূপম ইসলাম। আর অন্যজন ছবি তৈরির কারিগর। কিন্তু ব়্যাপ লেখা বা গাওয়াতেও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন। তিনি শমীক রায়চৌধুরি। এ হেন দুই শিল্পীর তৈরি ‘বিশাল বৃষ্টিরা’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে।
রক-এ ব়্যাপের ফিউশন কনসেপ্টটা এল কী ভাবে? এ প্রসঙ্গে রূপম বললেন, “আমার প্রিয় বন্ধু, শমীক রায় চৌধুরি, যার সঙ্গে আমার বহু কাজ রয়েছে, মিউজিক ভিডিয়োর পরিচালক হিসেবে। সে আমার জীবনে এসেছিল ‘দানিকেন’, এমন একটা অনবদ্য কাজের মাধ্যমে। তারপরেও খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ আমরা করেছি। ‘গানের জন্ম’, এটাও শমীকের করা। ফসিলসের ‘জানলা’ এবং ‘ঘৃণা’, এই কাজগুলোর কথা আলাদা করে বলতে পারি। খুব জরুরি কাজ শমীক করেছে। প্রত্যেকটা কাজ অতুলনীয়। এমন একজন মানুষ যখন ব়্যাপে নতুন করে শুরু করে, আমাকে আকৃষ্ট করেছিল, আমি বাহবাও জানিয়েছিলাম। শমীক একদিন ফোন করে বলেছিল, অনেকদিন একসঙ্গে কাজ করা হচ্ছে না। তখন মনে হল আমি আর সুগত মিলে যে কাজটা করেছি, ‘বিশাল বৃষ্টিরা’ রেডি হয়ে গিয়েছিল, মনে হল শমীকের ব়্যাপ যদি এর সঙ্গে যুক্ত হয়, তা হলে দারুণ ভাল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শমীককে সঙ্গে সঙ্গে গানটা পাঠিয়ে দিই। ফিউশনের পুরো কৃতিত্বই ওর।”
শমীকের গানের শুরু একেবারে অন্য ভাবে। সেই ভাবনার কথা শেয়ার করতে গিয়ে বললেন, “ছবি তৈরি করব বলে কলকাতায় ফিরে আসি সুখের চাকরি ছেড়ে। ছবি বানানো হয় ঠিকই, কিন্তু তার থেকেও বেশি অ্যাড ফিল্ম তৈরি করা শুরু করি। পাশাপাশি মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি করতে শুরু করি। কলকাতায় প্রথম মিউজিক ভিডিয়ো রূপম ইসলামের ‘দানিকেন’। সেটা মিউজিক সার্কিটে সাড়া ফেলেছে। লোপামুদ্র মিত্র, ‘পৃথিবী’ ব্যান্ডের মিউজিক ভিডিয়োও করেছি। ২০২০ মার্চ মাস থেকে প্রথম ছবির শুটিং শুরুর সময়ই প্যানডেমিক শুরু হয়। পুরো ব্যাপারটা থমকে যায়। এমন সময় প্রচুর কথা বলার ছিল, যেটা ছবির মাধ্যমে বলতে পারতাম। কিন্তু ফিল্ম মেকিং মিডিয়ামটা আটকে গেল। তখন ভাবলাম যেগুলো বলার আছে, কী ভাবে বলব। এটা ভাবতে ভাবতে লকডাউনেই ব়্যাপ গাওয়া শুরু করি। অনেক কথা অনেক ছোট সময়ে বলতে পারব ভেবেছিলাম।”
যদিও ব়্যাপ গাওয়া নাকি শমীকের জন্য কঠিন ছিল। তার কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বললেন, ব়্যাপ আমার জন্য কঠিন ছিল। কারণ আমি ধীরে ধীরে কথা বলি। খুব প্র্যাকটিস করতে থাকি। ‘আত্মহত্যার খসড়া’ আমার প্রথম ট্র্যাক। যেখানে নিজের জীবনের অংশই তুলে ধরেছি। আমরা জীবনে এমন মুহূর্ত আসে যখন আত্মহত্যার কথা ভাবি, সেটা নিয়েই এই গানটা। এর পর একে একে অনেক ট্র্যাক করি।”
রূপমের সঙ্গে এই কাজের সুযোগ কী ভাবে এল? শমীক বললেন, “রূপমদার সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম, কাজ তো হচ্ছে না। ডিপ্রেসড হয়ে পড়ছি। রূপমদা ‘বিশাল বৃষ্টিরা’ পাঠিয়ে দিল। আমি ভেবেছিলাম, এই ট্র্যাকটার মধ্যে ব়্যাপ কোথায় ঢোকাব? গান রয়েছে, আলাপ রয়েছে। রূপমদা বলেছিল, ‘এই গানটায় যদি ব়্যাপ ঢোকাস, তা হলে গানটা যতটা আমার, ততটা তোর। যেখানে যা মডিফিকেশন, অ্যাডিশন করার কর।’ সে ভাবেই এই গানটা তৈরি হল। গানটা তৈরির সময় মাথায় রেখেছিলাম রূপমদার বক্তব্যের সঙ্গে আমার বক্তব্যের একাধারে মিলও থাকে। আবার কনট্রাস্টও থাকে। আশা করি ভিডিয়ো এবং অডিয়োতে সেই কনট্রাস্টটা তুলে ধরতে পেরেছি।”
তবে এটা নতুন গান নয়। সে প্রসঙ্গে রূপম বললেন, “সুগত রায় পালৌধি, অত্যন্ত দক্ষ মিউজিয়াশন বিভাজন, ওর সঙ্গে ‘গানের জন্ম’, ‘আমি তোমায় ভালবাসি পার্ট ওয়ান’, পার্ট টু’ করেছি। ‘অ্যাডভেঞ্চার’ নামে একটা গান করেছি ওর সঙ্গে। সেখানে ১৬জন বাংলা গানের নতুন প্রজন্ম এবং পুরনো প্রজন্মও ছিল। এ বছর যখন ও যোগাযোগ করে তখন পুরনো পান্ডুলিপি ঘেঁটে এমন গান বের করি যেখানে এদেশীয় ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ‘মহানগরের কিনারে’ তৈরি হয়ে আছে, সেই মিউজিক ভিডিয়ো পরিচালনা করবে শমীক। ওটা তুলে রেখেছি, করোনা পরিস্থিতিতে শুট করা যাবে না বলেই তুলে রেখেছি।”
নতুন কী কী কাজ আসছে? সে প্রসঙ্গে রূপম বললেন, “অনেকগুলো গানের ফাইনালাইজেশন করলাম, খান দশেক গান তৈরি আছে। বেসিক গান, ফিল্মের বাইরে। ফিল্মে পাঁচ থেকে ছটি গান তৈরি। অয়ন চক্রবর্তীর পরবর্তী ছবি ‘জতুগৃহ ষড়রিপু ২’-এর সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব আমার, গান এবং আবহ আমি করছি। সেখানে ছটি গান রয়েছে। কবে প্রকাশিত হবে সেটা বলতে পারব না।”
আরও পড়ুন, পরের ছবিতে কিরণ দত্তকে কাস্ট করলেন পাভেল, রয়েছেন দিতিপ্রিয়াও