Tanushree Dutta: ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা, রক্তারক্তি কাণ্ড’, খুনের চেষ্টা করা হয় তনুশ্রী দত্তকে!

Tanushree Dutta: প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তনুশ্রী। ২০০৮ সালে এক ছবিতে নানার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে 'অপ্রীতিকর' পরিস্থিতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।

Tanushree Dutta: 'ভয়াবহ দুর্ঘটনা, রক্তারক্তি কাণ্ড', খুনের চেষ্টা করা হয় তনুশ্রী দত্তকে!
তনুশ্রী দত্ত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2022 | 9:51 AM

তনুশ্রী দত্ত– ‘আশির বনায় আপনে’ ছবিতে যাকে দেখে কেউ করেছিলেন সমালোচনা আবার কেউ বা তাঁর সেক্স অ্যাপিলের প্রশংসা করেছিলেন জোর গলায়। সেই তনুশ্রী দত্তের বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁকে নাকি খুনের চেষ্টা করা হয়। একবার নয় বারংবার– কখনও খাবারে বিষ আবার কখনও বা ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে– দাবি তনুশ্রীর। কাদের প্রতি অভিযোগ তনুশ্রীর? অভিনেত্রী সরাসরি আঙুল তুলেছেন, ‘বলিউড মাফিয়া’দের দিকে। #মিটু আন্দোলনে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই নাকি তাঁর জীবন হয়ে উঠেছে নরক– এক সাক্ষাৎকারে ভয়াবহ অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, “আমার ভয়ানক এক দুর্ঘটনা হয়। হাড় ভেঙে যায়। বহু দিন লাগে ঠিক হতে। অনেক রক্তপাত হয়েছিল।” তনুশ্রী মনে করেন, ওই ঘটনা নেহাতই দুর্ঘটনা ছিল না। ছিল প্ল্যানমাফিক। এ ছাড়াও তাঁর মতে খাবারে নাকি বিষও মেশানো হয়েছিল তাঁর। তনুশ্রী বলেন, “একজন পরিচারিকা আমার বাড়িতে কাজ করতে আসে। সে আসার পরেই আমি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যাই। আমার মনে হয় নিশ্চয়ই ও আমার খাবারে কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল।”

প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তনুশ্রী। ২০০৮ সালে এক ছবিতে নানার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। কার্যত এর পর থেকেই বলিউডে #মিটুর ঢেউ ওঠে। যেই ঢেউয়ের একের পর এক অভিনেতা-পরিচালকের নাম প্রকাশ্যে আসতে থাকে। যদিও পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও উপযুক্ত প্রমাণের বিরুদ্ধে এই মামলায় ক্লিনচিট দেওয়া হয় নানা পাটেকরকে। কিন্তু এর পর থেকেই লাইমলাইট থেকে অবলুপ্তি ঘটে এই বাঙালি অভিনেত্রীর। ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন তনুশ্রী। প্রকাশ্যেই জানান, ওই বলিউডের বড় নামেদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে তিনি কর্মহীন। এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি আমার কেরিয়ার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি। মানুষ আমার সঙ্গে কাজও করতে চাইছে। ছবির অফারও পাচ্ছি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে যাচ্ছে। কখনও পরিচালক যোগাযোগ রাখছেন না। আবার কখনও নাকি স্পনসর পাওয়া যাচ্ছে না”।

তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে কাজ না করার রীতিমতো নাকি পরিচালক-প্রযোজকদের কাছে মেসেজ পৌঁছচ্ছে। এ বছর জুলাই মাসেও নানা পটেকরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি লেখেন, “যদি আমার কোনওদিন কিছু হয়ে যায় তবে জানবেন মিটু’তে অভিযুক্ত নানা পাটেকর, তার আইঞ্জিনি ও বলিউডে তার মাফিয়া বন্ধুরাই এর পিছনে দায়ি। ওদের ছবি দেখবেন না। ওদের বয়কট করুন। যারা যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর ছাপিয়েছে, মিথ্যে কথা রটিয়েছে, মিথ্যে প্রচার চালিয়েছে তাদের সবার জীবন নরক বানিয়ে দিন।” বারেবারেই তনুশ্রী অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রাণ সংশয় নিয়ে। বলিউডের অন্দর নিয়েও মুখ খুলেছেন। কেউ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন আবার কারও মতে প্রচারের আলোয় থাকার জন্যই এ হেন কথা বলছেন তিনি। বর্তমানে আবারও কেরিয়ার সাজাতে চান এই বঙ্গতনয়া। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ ছবিতে।