Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৫০ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর পাশ টুইঙ্কলের; স্বামী অক্ষয়ের আফসোস, ‘আমার আরও লেখাপড়া করা উচিত ছিল…’

Twinkle Khanna: ছোট বয়সে সিনেমায় কাজ করা শুরু করেছিলেন বলে লেখাপড়াটা অপূর্ণই থেকে যায় টুইঙ্কলের। কিন্তু লেখাপড়া শেষ না হওয়ার গ্লানি নিয়ে বারবার হাহুতাশ করেননি তিনি। পরিবর্তে আলিঙ্গন করে নিয়েছেন লেখাপড়াকে। নিজে বইও লিখেছেন টুইঙ্কল। নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। ৫০ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর হলেন টুইঙ্কল।

৫০ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর পাশ টুইঙ্কলের; স্বামী অক্ষয়ের আফসোস, 'আমার আরও লেখাপড়া করা উচিত ছিল...'
টুইঙ্কল এবং অক্ষয়।
Follow Us:
| Updated on: Jan 17, 2024 | 11:18 AM

প্রবাদটা যদি পাল্টে দেওয়া হয়, তা হলে দাঁড়াবে–যাঁর ৯তে হয়, তাঁর ৯০তেও হয়। এই উল্টো প্রবাদের আদর্শ উদাহরণ এই মুহূর্তে বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। ছোট বয়সে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন টুইঙ্কল। বাবা রাজেশ খান্না এবং মা ডিম্পল কাপাডিয়া। দুই কিংবদন্তি তারকা অভিনেতার জ্যেষ্ঠ কন্যা টুইঙ্কল এককথায় স্টার কিড। তবে বাবা-মায়ের মতো অভিনয়কেই পেশা করতে চাননি তিনি। চাননি গ্ল্যামার এবং স্পটলাইট। পর্দায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখলেও টুইঙ্কলের একেবারেই ভাল লাগত না ‘ফিল্ম লাইন’-এর কাজ। তিনি একটু অন্য ধাঁচে গড়া। লেখাপড়া, সামাজিক কাজ এসবেই মন বসিয়েছেন অভিনয় থেকে সরে এসে। এদিকে তাঁর স্বামী সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের বছরে ছবি মুক্তি পায় ৪-৫টা। কিন্তু তাতে কী! টুইঙ্কল পড়াশোনা করেন। এবং সম্প্রতি তাঁর মুকুটে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্নাতকোত্তর হয়েছেন। গ্র্যাডুয়েশন ডে তে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অক্ষয়ও। কেবল তাই নয়, স্ত্রীর এই কৃতিত্বকে উদযাপন করেছেন বলিউডের ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি।

ছোট বয়সে সিনেমায় কাজ করা শুরু করেছিলেন বলে লেখাপড়াটা অপূর্ণই থেকে যায় টুইঙ্কলের। কিন্তু লেখাপড়া শেষ না হওয়ার গ্লানি নিয়ে বারবার হাহুতাশ করেননি তিনি। পরিবর্তে আলিঙ্গন করে নিয়েছেন লেখাপড়াকে। নিজে বইও লিখেছেন টুইঙ্কল। নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। ৫০ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর হলেন টুইঙ্কল। যে সকল নারীদের অল্প বয়সে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে পারে টুইঙ্কলের এই কৃতিত্ব। স্ত্রীর গ্র্যাজুয়েশন ডে-তে কালো কোট পরে হাজির হয়েছিলেন অক্ষয়। এবং টুইঙ্কল পরেছিলেন সবুজ রঙের একটি শাড়ি।

View this post on Instagram

A post shared by Akshay Kumar (@akshaykumar)

ছবি শেয়ার করে অক্ষয় লিখেছেন, “দু’বছর আগে হঠাৎই একদিন আমাকে তুমি বলেছিলে ফের একবার লেখাপড়া শুরু করতে চাও। সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল, যা তুমি বলেছিলে সত্যি করবে কি না। কিন্তু আমার এই সংশয় ভুল ছিল। তোমাকে আমি দিনরাত লেখাপড়া করতে দেখেছি। একই সঙ্গে বাড়ি, কেরিয়ার, আমাকে আর আমাদের সন্তানদেরও সামলাতে দেখেছি। আমি জানি একজন সুপারওম্যানকে বিয়ে করেছি আমি। আজ তোমার গ্ল্যাজুয়েশন ডে-তে, মনে হচ্ছে আমারও আরও পড়াশোনা উচিত ছিল। তা হলেই হয়তো তোমার এই কৃতিত্বকে সঠিক শব্দে বর্ণনা করে বোঝাতে পারতাম, তুমি আমাকে কতটা গর্বিত করেছ।”

পোস্ট শেয়ার করেছেন টুইঙ্কলও। ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “…জীবনে মাঝেমধ্যে নিজেকে ঠেলতে হয়। আমার সঙ্গে কী আপনারা একমত?”

২০২২ সালে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে ‘ফিকশন রাইটিং’ বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর স্তরে লেখাপড়া শুরু করেন টুইঙ্কল খান্না। একবার এই বিষয়টি নিয়ে মজার ছলে অক্ষয় বলেছিলেন, “বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের কলেজে ছাড়তে যান। আমি আমার স্ত্রীকে ছাড়তে যাচ্ছি।”

বিগত কয়েক বছরে বেশকিছু বই লিখে ফেলেছেন টুইঙ্কল। সেই বইগুলি বেস্টসেলিংয়ের খেতাবও পেয়ে গিয়েছে। যেমন–’মিসেস ফানিবোনস’, ‘পাজামাজ় আর ফরগিভিং’, ‘দ্য লেডেন্ড অফ লক্ষ্মীপ্রসাদ’, ‘ওয়েলকাম টু প্যারাডাইজ়’। অক্ষয়ের সঙ্গে ২০ বছরের দাম্পত্য টুইঙ্কলের। তাঁদের দুই সন্তান আরভ এবং নিতারা। আরভের বয়স ২১ এবং নিতারা ১১।