রাজ্য সরকারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলোধোনা শ্রাবন্তীর , পোস্টে লাইক মিমি-নিখিলের
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পোস্ট অথচ সেই পোস্টেই লাইক করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী অথা যাদবপুরের সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। লাইক করেন বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের স্বামী নিখিল জৈনও।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম থেকে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় । মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতি তোলাবাজি মুক্ত করে, বেহালা পশ্চিমে শুধু ক্লাবে ক্লাবে ফূর্তি করার দান খয়রাতি নয়, সামাজিক উন্নয়নের সাথে সোনার বাংলার সংকল্প নিয়ে বেহালা পশ্চিমে সুখে দুঃখে সব সময় পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম।”
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পোস্ট অথচ সেই পোস্টেই লাইক করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী অথা যাদবপুরের সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। লাইক করেন বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের স্বামী নিখিল জৈনও। রাজনৈতিক সৌজন্য নাকি অন্য সমীকরণ! উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। জল্পনা তুঙ্গে।
View this post on Instagram
নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে শ্রাবন্তী এবং মিমির যেহেতু আগে থেকেই পরিচয় সে কারণেই এই ‘লাইক’ শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ। নুসরত জাহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর নিখিলের বস্ত্র বিপণনী সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এখন শ্রাবন্তী। বেহালা থেকে ভোটে দাঁড়ান প্রসঙ্গে এর আগে টিভিনাইন বাংলাকে শ্রাবন্তী জানিয়েছিলেন, বেহালার মেয়ে তিনি। ছোটবেলা কেটেছে সেখানেই। স্কুলও সেখানেই। তাঁর কথায়, ” “বেহালার আমাদের বাড়িকে সবাই চেনে। চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। আমার দাদু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁরই নাতনি আমি। আমি নায়িকা হওয়ার আগে থেকেই বেহালাবাসী আমায় ভালভাবে চেনে। বেহালা গেলেই মনে হয় নিজের ঘর।” প্রচারও চলছে জোর কদমে। তবে এ সবের মধ্যেই মিমি লাইক উস্কে দিল নয়া জল্পনা।