OTT on Fire: সিনেমা হলের পর এবার ওটিটিতেও ‘তুফান’ নিয়ে আসছে ‘আরআরআর’, পাল্টে দিচ্ছে সমস্ত সমীকরণ

RRR: ওটিটিতে নতুন রেকর্ডের পথে এস এস রাজামৌলির 'আরআরআর'।

OTT on Fire: সিনেমা হলের পর এবার ওটিটিতেও 'তুফান' নিয়ে আসছে 'আরআরআর', পাল্টে দিচ্ছে সমস্ত সমীকরণ
আরআরআর - আর আর আর একটি দক্ষিণী ছবি। আই এম ডি বি-র রেটিং অনুযায়ী চলতি বছরে এই ছবির স্থান পঞ্চম। প্রাপ্ত রেটিং-৮।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 8:35 AM

৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে এসএস রাজামৌলির দক্ষিণ ভারতীয় ছবি ‘আরআরআর’। সেই টাকায় মঙ্গলগ্রহে মঙ্গলযান পাঠিয়েছিল ভারত। থিয়েটারে মুক্তির পর ছবির লাভের অংশের মূল্য আনুমানিক ১১১৫ কোটি টাকা। আমির খানের ‘দঙ্গল’, এস এস রাজামৌলিরই ছবি ‘বাহুবলী’র দুটি ছবি, ‘কেজিএফ ২’কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বক্স অফিসে ঝড় তোলার পর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও সুনামী নিয়ে আসছে ‘আরআরআর’। নেটফ্লিক্সে স্ট্রিম করতে শুরু করেছে সম্প্রতি। জ়ি ফাইভে দেখা যাচ্ছে ছবির তেলেগু সংস্করণ। সারাবিশ্বের ৬০টি দেশে দেখানো হচ্ছে এখন।

দক্ষিণের দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারাম রাজু ও কোমারাম ভীমের লড়াইয়ের উপর তৈরি হয়েছে সিনেমার কাহিনি। কী জাদু ছিল দুই বীরের? যে তাঁদের নিয়ে ৪০০ কোটি টাকার সিনেমা তৈরি করে ফেললেন এসএস রাজামৌলি এবং তা গ্রহণও করলেন দর্শক…

ছবিতে দক্ষিণের দুই সুপারস্টার এই দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রামচরণকে দেখা গিয়েছে আল্লুরি সীতারাম রাজুর চরিত্রে। জুনিয়র এনটিআরকে দেখা গিয়েছে কোমারাম ভীমের চরিত্রে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আল্লুরি সীতারাম রাজুর জন্ম ১৮৯৭ সালে, বিশাখাপট্টনমে। ১৮ বছর বয়সে সাধু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জীবনের মোহ-মায়া সমস্ত ত্যাগ করেছিলেন। ওই বয়সেই ঘুরে বেরিয়েছেন মুম্বই, বড়োদরা, বরাণসী, ঋষিকেশ, বাংলা, নেপাল। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে প্রভাবিত ছিলেন শুরুতে।

১৯২০-এর দশকে আদিবাসীদের মদ্যপান ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আল্লুরি। পঞ্চায়তে গিয়ে তাঁদের সমস্যার সমাধানও করতেন। একটা সময় পর গান্ধীর আদর্শ থেকে সরে এসেছিলেন। হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন অত্যাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। লোকে বলে, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় তাঁদের হাতে অনেক অত্যাচার সহ্য করেছিলেন আল্লুরি। কিন্তু কোনওদিনও নিজের মাথা নত করেননি। ১৯২৪ সালে দেশের জন্য লড়াই করতে করতে প্রাণ দিয়েছিলেন আল্লুরি। তাঁকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে মেরেছিল ব্রিটিশরা।

অন্যদিকে কোমারাম ভীমের জন্ম হয় ১৯০০ সালে, আদিলাবাদের সাকেঁপল্লিতে। গন্ড গোষ্ঠীর পুত্র ছিলেন তিনি। দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন ভীম। হায়দরাবাদের স্বাধীনতার জন্য ক্রমাগত লড়ে গিয়েছিলেন নিজামের বিরুদ্ধে। আসাফজাহি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ছিল তাঁর লড়াই। হায়দরাবাদের স্বাধীনতাই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। লড়াই করতে করতে জঙ্গলে বসবসা করতে শুরু করেন। নিজাম সরকার তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ইতিহাসবিদরা বলেন, ১৯৪০ সালের এক সকালে নিজামের লোকেরা এসে ভীমের খোঁজ করতে শুরু করে। তারপর তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদের গুলি করে মারে।

এসএস রাজামৌলির ছবি ‘আরআরআর’ এই দুই বীরের কথাই বলেছে। কিন্তু কাল্পনিকভাবে দেখানো হয়েছে তাঁদের লড়াইকে। কলকাতায় ছবির প্রচার করতে এসে রাজামৌলি বলেছিলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রিয় ছিলেন আল্লুরি সীতারাম রাজু ও কোমারাম ভীম।”