‘প্রত্যুষাকে আমি মারিনি, ওঁর বাবা-মা’ই দায়ী’, বিস্ফোরক প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড
রাহুলের কথায়, "সে দিনের জন্য অপেক্ষা করছি যেদিন আদালত আমাকে নির্দোষ তকমা দেবে। আমি অপরাধী নই। প্রত্যুষাকে আমি মারিনি। ওঁর বাবা-মায়ের লোভই ওঁকে শেষ করে দিয়েছে। দায়ী ওঁর বাবা-মা'ই।"
২০১৬র ১ এপ্রিল, বলিউড দেখেছিল এক ট্র্যাজিক মৃত্যু। আত্মহত্যা করেছিলেন ছোট পর্দার আনন্দী ওরফে প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল বলিউড, কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অনুরাগীরা। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেত্রীর তখনকার প্রেমিক রাহুল রাজ সিংয়ের উপর। দায়ের হয়েছিল আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলাও। এত বছর বাদে প্রত্যুষা এবং তাঁর সম্পর্ক নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন রাহুল।
রাহুলের কথায়, “সে দিনের জন্য অপেক্ষা করছি যেদিন আদালত আমাকে নির্দোষ তকমা দেবে। আমি অপরাধী নই। প্রত্যুষাকে আমি মারিনি। ওঁর বাবা-মায়ের লোভই ওঁকে শেষ করে দিয়েছে। দায়ী ওঁর বাবা-মা’ই। আমি ওঁকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। মারতে না।” রাহুলের অভিযোগ, প্রত্যুষার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিকাশ গুপ্তা এবং কাম্যা পাঞ্জাবি ‘অন্যায় ভাবে’ প্রত্যুষার আত্মহত্যার দায় তাঁর উপর চাপাতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রত্যুষা মৃত্যুর আগে শেষ ফোন আমাকে করেছিল তার মানে এই নয় যে আমি ওঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী। প্রত্যুষা আমায় দায়ী করেনি। এমনকি আদালত আমায় জামিন দিয়েছে আমার এবং প্রত্যুষার শেষ কথোপকথন শুনেই। সেই কথোপকথনেও কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না।”
View this post on Instagram
রাহুল যোগ করেন যে মুহূর্তে মামলায় তিনি ক্লিনচিট পেয়ে সেই মুহূর্তেই কাম্যা এবং বিকাশের নামে তিনি আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করবেন। গত পাঁচ বছরে তাঁর কেরিয়ার ‘নষ্ট’ করে দেওয়ার কারণ, হিসেবে ওই দুজনকেই দায়ী করেছেন রাহুল।
আরও পড়ুন: শ্রীময়ী গাড়ির দরজা আটকাল, আমার বাচ্চাটা তখন কাটা ছাগলের মতো ভয়ে কাঁপছে: পিঙ্কি
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে প্রত্যুষার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিকাশ। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রত্যুষার সঙ্গে তাঁর স্বল্প দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও বিকাশ দাবি করেন, তিনি সমকামী যেনে প্রত্যুষা তাঁকে ছেড়ে দেন। এ ছাড়াও তাঁর অভিযোগ, প্রত্যুষার মৃত্যুর পর তাঁকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেই হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে চিপস খাচ্ছিলেন রাহুল। অন্যদিকে প্রত্যুষার মৃত্যুর পর কাম্যা পাঞ্জাবিও পরোক্ষে আঙুল তুলেছিলেন রাহুলের দিকে। কাম্যা যে রাহুলকে পছন্দও করতেন না, সে কথাও জানিয়েছিলেন কাম্যা।