ছবির মাধ্যমে কবিতা বলতেন বুদ্ধদা: শঙ্কর চক্রবর্তী
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সঙ্গে তিনটে ছবি করেছি। ‘জানালা’, ‘চরাচর’, ‘উত্তরা’। তিনটে ছবি করতে গিয়ে কাছ থেকে মানুষটাকে দেখেছি।
বাংলার চলচ্চিত্রে ফের নক্ষত্রপতন। প্রয়াত পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত (Buddhadeb Dasgupta)। বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা নাগাদ ঘুমের মধ্যেই দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৭। তাঁর স্মৃতিচারণা করলেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সঙ্গে তিনটে ছবি করেছি। ‘জানালা’, ‘চরাচর’, ‘উত্তরা’। তিনটে ছবি করতে গিয়ে কাছ থেকে মানুষটাকে দেখেছি। ছবির মাধ্যমে কবিতা বলতেন। নিজেও একজন কবি ছিলেন। ওঁর ছবি একদম অন্যরকম। রাউন্ড ট্রলি খুব পছন্দ করতেন। ‘চরাচর’-এ এল ট্রলি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটা উনিই প্রথম কলকাতায় করেছিলেন। খুব অন্যরকম ছিলেন। একদমই আলাদা। গতানুগতিক ছবি তো বানাতেন না। এক একটা ছবিতে এক একটা সিগনেচার টিউন ছিল।
উত্তরা ১৯৯৯এর শেষের দিকের ছবি। সে সময় কিছু কর্মাশিয়াল ছবি করেছি। ওই ছবিটা করতে গিয়ে একমাস কুস্তি শিখেছিলাম আমি আর তাপস পাল। উত্তর কলকাতায় গোবর গুহর আখরাতে বিশ্বনাথবাবু বলে একজন ছিলেন। পদবী ভুলে গিয়েছি। ওর কাছে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। শটের সময়ও উনি থেকে প্যাঁচ দেখিয়ে দিতেন। তারপর শট নেওয়া হত। কুস্তির একটা বড় ভূমিকা ছিল।
বুদ্ধদার যে কোনও ছবিই তো কবিতার মতো। ‘উত্তরা’ও ব্যতিক্রম নয়। ছবিটা তো পুরো কবিতাই। ছৌ ব্যবহার করা হয়েছিল। ‘কালো জলে কুজলা তলে’ ব্যবহার করা হয়েছিল। হিট গান…। অপূরণীয় ক্ষতি।
আরও পড়ুন, ভিস্যুয়াল দিয়ে কীভাবে গল্প বলা যায় সেটা বুদ্ধদার ছবি দেখে শেখার: সুদীপ্তা চক্রবর্তী