Ayurveda: হৃদরোগ থেকে লিভার শরীরের যে কোনও সমস্যায় রামবাণ এই প্রাচীন ভেষজ , জানুন কালমেঘের গুণাগুণ

Kalmegh: নাক থেকে ক্রমাগত জল ঝরলে কালমেঘ পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। হালকা জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দির সমস্যাতেও প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা

Ayurveda: হৃদরোগ থেকে লিভার শরীরের যে কোনও সমস্যায় রামবাণ এই প্রাচীন ভেষজ , জানুন কালমেঘের গুণাগুণ
একাধিক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে এই পাতায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 8:37 AM

একেবারে প্রাচীন কাল থেকে ভারত এবং চিনের আর্য়ুবেদ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে এই ভেষজ। ভারতের জলবায়ু এই ভেষজের বেড়ে ওঠার পক্ষে আদর্শ। দো-আঁশ মাটিতে সবচেয়ে বেশি ভাল হয় এই গাছ। এছাড়াও কালমেঘের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপকারিতা। সবুজ চিকতা নামেও পরিচিত কালমেঘ। বাংলায় বর্ষা এসে গিয়েছে। আর বর্ষাতে বাড়ে যে কোনও রোগের প্রকোপ। পেটের সমস্যা, জ্বর, সর্দি-কাশি, এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও জলবাহিত যে কোনও রোগই বাড়ে বর্ষাতে। জ্বর হলে শরীর যেমন দুর্বল হয়ে যায় তেমনই খাবারে রুচি থাকে না। পেটের সমস্যা লেগে থাকলে লিভারও কমজোরি হয়ে যায়। আর তাই ক্রনিক এই জ্বর-জ্বালা কাটিয়ে উঠতে এই সময় কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার কথা বলা হয়। যে কোনও মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ে এই গরমে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোর হারিয়ে যায়নি কোভিডে। বর্ষা আসতেই ফের তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আর তাই সামগ্রিক সুস্থার জন্য রোজ কোনও একরকম তেতো খেতে বলেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে কালমেঘ খেতে পারলে ভাল কাজ পাবেন।

জেনে নিন কালমেঘ পাতার উপকারিতা

লিভারের সমস্যায়- আজকাল বেশিরভাগই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। এর অন্যতম নেপথ্য কারণ হল আমাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। কালমেঘ পাতার রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। হেপাটাইটিস- বি রুখতেও এই পাতা ভীষণ রকম কার্যকরী। লিভার সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যার সমাধানে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে এটি।

জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায়- বর্ষাকাল মানেই ঘরে ঘরে জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা। এছাড়াও বাড়ছে কোভিড। কোভিড আর ফ্লু এর সাধারণ লক্ষণ মোটামুটি একই। রোজ নিয়ম করে কালমেঘ খেতে পারলে শরীর ভিতর থেকে স্ট্রং হবে। কালমেঘ পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্যাস, বদহজমের সমস্যাতেও উপকারী এই কালমেঘ পাতা।

কোল্ড অ্যালার্জি– এমন অনেকেই আছেন যাঁরা বছরভর সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। সামান্য কিছুতেই ঠান্ডা লেগে যায়। তাদের জন্যেও কিন্তু এই কালমেঘ মহৌষধ। তাঁরা সারাবছর কালমেঘ খেতে পারলে উপকার পাবেন। এই পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য এক্ষেত্রে কাজে লাগে। নাক থেকে ক্রমাগত জল ঝরলে কালমেঘ পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। হালকা জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দির সমস্যাতেও প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী। টনসিলের সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তির কারণ হয়ে যায়। খেতে পারেন না। গলায় ইনফেকশন হয়ে যায় অনেকের। সেক্ষেত্রেও মন্ত্রের মতো কাজ করে এই ভেষজ।

যে কোনও প্রদাহ জনিত সমস্যায়- শরীরের যে কোনও প্রদাহ জনিত সমস্যায় কাজে লাগে এই কালমেঘ। নিয়ম করে খেলে জ্বালা, যন্ত্রণা কমে। অন্ত্র পরিষ্কার থাকে। যাঁরা ক্রনিক লিভার অথবা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা অবশ্যই খান।

ত্বকের সমস্যায়- বর্ষাকাল মানেই লেগে থাকে ত্বকের একাধিক সমস্যা। যে কোনও অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি, ত্বকের প্রদাহ, চামড়ার সংক্রমণজনিত অসুখ বাড়ে এই সময়েই। এক্ষেত্রে কালমেঘ পাতার রস খেতে পারলে ভাল। শরীর তেকে যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যাবে।