AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Yoghurt: নিয়মিত দই খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ! দাবি জানাচ্ছে গবেষণা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৩৬ সেকেন্ডে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় এই রোগে একজন মানুষের মৃত্যু হয় প্রতি ১২ মিনিটে।

Yoghurt: নিয়মিত দই খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ! দাবি জানাচ্ছে গবেষণা
দইয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2021 | 8:06 AM
Share

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন দই খেলে এটি মানুষকে উচ্চ রক্তচাপ পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। গবেষণাটি ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেয়ারি জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে। মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণাটিতে রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে সম্পর্কগুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে দই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।

বিশ্বব্যাপী, এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেশনের রোগে ভুগছেন, যার ফলে তাঁদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের (সিভিডি) ঝুঁকি বেশি থাকে। কার্ডিওভাসকুলার রোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান একটি কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৩৬ সেকেন্ডে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় এই রোগে একজন মানুষের মৃত্যু হয় প্রতি ১২ মিনিটে।

ইউনিসা গবেষক ডাঃ আলেকজান্দ্রা ওয়েড বলেছেন যে এই গবেষণাটি থেকে নতুন প্রমাণ পাওয়া গেছে যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য ইতিবাচক ফল প্রদান করে দই। নিয়মিত দই খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে রক্তচাপ। ডাঃ ওয়েড বলেন, “উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগের এক নম্বর ঝুঁকির কারণ, তাই এটি হ্রাস এবং নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।”

দই খুব সাধারণ একটি দুগ্ধজাত খাবার। শত শত বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই খাবারের ব্যবহার চলে আসছে। দইয়ের মধ্যে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাহলে আসুন জানা যাক দইয়ের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলি সম্পর্কে।

দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে ল্যাক্টিক অ্যাসিড রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান গুলি শরীরে এক দারুণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম। রক্তচাপ কমানো থেকে শুরু করে ব্যাড কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এইচডিএল অর্থাৎ ভাল কোলেস্টেরলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যার ফলে হৃদ জনিত যে কোনও সমস্যা হ্রাস পায়।

দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, বিশেষত গ্রিক দইয়ের মধ্যে তা বর্তমান। এই প্রোটিন শরীরের খিদের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজনকে বেশি বৃদ্ধি হতে দেয় না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দইয়ের ব্যবহার অপরিহার্য। দইয়ের মধ্যে কিছু প্রকারের প্রোবায়োটিক্স রয়েছে যা পেটের যেকোনও সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা বা ডায়রিয়া, বোমা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে দই।

এত প্রকারের ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোবায়োটিকস শরীরের যে কোনও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহায়ক। তাই শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দইকে রাখুন। দইয়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয়কে রোধ করে, অন্যদিকে দাঁতকেও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দই খেলে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।

আরও পড়ুন: পায়ের গাঁটে অসহ্য ব্যথা? শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আছে তো?