AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Health Tips: চিট ডে’তে বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলেছেন? এবার কী করবেন, জানুন

Lifestyle Tips: একদিন পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিশোধিত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার অর্থ হল জীবনের ঝুঁকিকে ডেকে আনা। তাই কোনওভাবেই এই বিষয়টিকে অবহেলা করা যায় না।

Health Tips: চিট ডে'তে বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলেছেন? এবার কী করবেন, জানুন
Image Credit: istockphoto.com
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 8:39 AM
Share

আজকাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সবাই সচেতন। মেপে মেপে চিনি (Sugar) খান আপনিও। ডায়াবেটিস নেই। তা বলে কোনও ভাবেই ঝুঁকি নেওয়া যায় না। কিন্তু এর মাঝেই একদিন বেশি চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেছেন। এবার কী হবে? অনেক সময় আমরা নিজের আবেগকে সামলাতে পারি না। গবেষণা বলছে, মন খারাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতার মত মানসিক সমস্যাগুলো আমাদের মধ্যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে। এতে দোষের কিছু নেই। একে স্ট্রেস ইটিং বা ইমোশোনাল ইটিং (Stress Eating) বলে। কিন্তু একদিন পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিশোধিত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার অর্থ হল জীবনের ঝুঁকিকে ডেকে আনা। তাই কোনওভাবেই এই বিষয়টিকে অবহেলা করা যায় না। আর যদি আপনার ডায়াবেটিস (Diabetes) থাকে তাহলে আরও সচেতন হতে হবে।

আসলে একবার মিষ্টি জাতীয় খাবারে কামড় দিলেই ডোপামাইন নামক হ্যাপি হরমোন উদ্দীপিত হতে থাকে আমাদের শরীরে। এখান থেকে আরও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। আর এখান থেকেই আপনি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে বেশি চিনি গ্রহণ করে ফেলেন। এই চিনি আপনার আপনার রক্ত প্রবাহকে প্লাবিত করার সঙ্গে সঙ্গে অগ্ন্যাশয় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ইনসুলিন নিঃসরণ করে। এটি লেপটিন হরমোনকে দমন করে, যা আপনার মস্তিষ্ককে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য সবুজ সংকেত দেয়। গ্লুকোজ দ্রুত হজম হয়, এবং আপনার শরীরে ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। আর এতেই শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়। একে ‘সুগার ক্র্যাশ’ বলে। চিনি খাওয়ার ১৫ মিনিট পর থেকে শুরু করে ২ ঘণ্টা পর এই ক্র্যাশ হতে পারে। আপনি হয়তো ভাববেন আরেকবার চিনি খেলে হয়তো এই ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে, কিন্তু তা হবে না। এর জন্য কী করবেন, চলুন দেখে নেওয়া যাক।

পিনাট বাটার খান- শরীরে চিনির প্রভাব কমিয়ে আনতে এক চা চামচ পিনাট বাটার খেয়ে নিন। এতে থাকা ফ্যাটা ও প্রোটিন আপনার হজন প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেবে। পিনাট বাটার না থাকলে এক মুঠো বাদাম খেয়ে নিন। এর মধ্যে থাকা ফাইবার সুগার ক্র্যাশের প্রভাব কমিয়ে দেবে।

সিঁড়ি ওঠানামা করুন- সুগার ক্র্যাশ হলে শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়, যেখান থেকে শুয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা যায়। কিন্তু এমনটা করবেন না। সুগার ক্র্যাশের প্রভাব কমাতে শরীরচর্চা করুন। এর জন্য জিমে গিয়ে কসরত করার প্রয়োজন নেই। ১৫ মিনিট হাঁটাচলা করুন কিংবা সিঁড়ি ওঠানামা করুন। শরীর ঠিক করে যাবে।

লেবু চা পান করুন- সুগার স্ক্র্যাশ হলে ওই সময় গ্রিন টিতে লেবু মিশিয়ে পান করুন। ওই চায়ের মধ্যে মধু বা চিনি কোনও কিছু যোগ করবেন না। এতে আপনার প্রস্রাব তৈরি হবে এবং কিডনিতে রক্ত পরিশোধিত হবে আর শরীর থেকে অতিরিক্ত চিনি সহজেই বেরিয়ে যাবে।

স্মুদি পান করুন- আগের দিন যদি বেশি চিনি গ্রহণ করে ফেলেন তাহলে পর দিন সকালে ব্রেকফাস্টে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন আর শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি এই সময় স্মুদি পান করেন। টক দই, পিনাট বাটার, সবজি ও ফল দিয়ে স্মুদি তৈরি করতে পারেন। এতে কোনও রকম মধু বা চিনি যোগ করবেন না।