বিদায়ের পথে শীত। শহরতলিতে এখনও ঠান্ডার বেশ আমেজ থাকলেও কলকাতা থেকে হঠাৎ করেই যেন উধাও শীত। গায়ে কম্বল চাপালে গরম লাগছে। মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসও বইছে।
অনেকেই রাতে ফ্যান ছাড়া ঘুমোতে পারছেন না। জানুয়ারি মাসে ফ্যান চালানোর মত ঘটনা এই প্রথম। কখনও রোদ কখনও ঠান্ডা সব মিলিয়ে বাড়ছে শরীর খারাপ। জ্বর, সর্দি কাশি এখন ঘরে ঘরে। সেই সঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে ম্যালেরিয়া, পক্সের প্রকোপও।
এই সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা এমনিই কম থাকে। সঙ্গে গায়ে, হাতে পায়ে ব্যথা এসবও থাকে। আর তাই অনেকেই সামান্য গা ম্যাজম্যাজ করলেও প্যারাসিটামল খান।
তবে কথায় কথায় ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানে। চিকিৎসকরা বলছেন এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। দিনের মধ্যে তিন লিটার জল, ফলের রস, ডাবের জল এসব অতি অবশ্যই খাবেন। এসব না পারলেও এআরএস খান। এতেই শরীর থাকবে চাঙ্গা।
জ্বর হলে রোদের মধ্যে না বেরনোই ভাল। বাড়িতে বিশ্রাম নিন। হালকা সহজপাচ্য খাবার খান, স্যুপ খান। জ্বর গায়ে রাস্তায় বেরোলে বিড়ম্বনায় পরতে হবে।
জ্বর হলে অনেকেই স্নান করেন না। এই ধারণা একেবারে ভুল। এতে শরীর বেশি খারাপ হয়। আর তাই রোজ স্নান করুন ইষদুষ্ণ জলে। খুব ঠান্ডা বা গরম জল একেবারেই নয়। প্রয়োজনে গা স্পঞ্জ করুন। তিনদিনের বেশি জ্বর, কাঁপুনি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান এবং রক্তপরীক্ষা করান।