Buerger disease: ব্যথা কমে না, থাকে শরীরে পচনের সম্ভাবনা, নেই স্থায়ী প্রতিকারও! জানুন কী এই বুর্গার রোগ

What Is Buerger Disease: গাঁজা আর তামাক বেশি খেলে এই রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে...

Buerger disease: ব্যথা কমে না, থাকে শরীরে পচনের সম্ভাবনা, নেই স্থায়ী প্রতিকারও! জানুন কী এই বুর্গার রোগ
জানুন এই বিরল ব্যাধি সম্পর্কে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 3:00 PM

তামাক ক্যানসারের কারণ। তামাক খেলে কর্কট রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। ইদানিং তামাক সেবনের ফলে শুধুই যে ক্যানসার হচ্ছে তা নয়, বিরল এই রোগের সন্ধান মিলেছে। যা Buerger’s disease নামে পরিচিত। বুর্গারের রোগকে থ্রম্বোএঞ্জাইটিস ওব্লিটারানসও বলা হয়। এই রোগে হাত আর পায়ের পাতার রক্তনালীগুলি ফুলে যায়। রক্তচলাচল বাধা পায়। পরে ওই অংশটি নীল হয়ে যায়। শিরাতে বাধা পায় বলেই হাত আক পায়ে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন হয় না। রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে হাত-পা অসাড় হয়ে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে হলুদও হয়ে যায়। তবে এই বুর্গার ভয়ংকর একটি রোগ। এই রোগের প্রকোপে পড়ে হঠাৎ করেই হাত-পা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন কোনও রকম ওষুধও কিন্তু কাজ করে না। যাঁরা নিয়মিত ভাবে ধূমপান করেন তাঁদের মধ্যে বুর্গার রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি।

বুর্গার রোগে আক্রান্ত হলে প্রথম শর্ত হল তামাক ছাড়তেই হবে। যে কোনও রকম তামাকই কিন্তু এই রোগের অন্যতম কারণ। আর তাই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রথমেই তামাক ছাড়তে হবে। এছাড়াও যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে বা যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত তাঁদের নিয়ম করে রক্ত পাতলা রাখে এমন ওষুধ খেতে হবে। অনেক সময় এই রোগীদের হাত বা পায়ের আঙুল ফেটে গিয়ে সেখান থেকে রক্তপাত হয়। যা খুবই ভয়ানক। জানুন এই রোগের কারণ এবং উপসর্গ।

বুর্গার রোগ ( Burger Disease)

যাঁরা তামাক বেশি খান, তাঁদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি। যে কোনও রকম তামাক শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। গাঁজা আর তামাক বেশি খেলে এই রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে। বুর্গার আদতে বিরল ব্যাধি। যে সব দেশে তামাকের প্রচলন নেই সেই সব দেশে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজও কিন্তু পাওয়া যায় না।

লক্ষণ

*হাঁটু থেকে পায়ের নীচের দিকে ব্যথা *হাত বা কব্জিতে ব্যথা। কখনও তীব্র ঝাঁকুনি *হাত আর পায়ের আঙুলে আলসার *পায়ের পাতা, আঙুল নীল হয়ে যাওয়া বা বিবর্ণ হয়ে যাওয়া *পা ফেটে রক্ত পড়া

চিকিৎসা

এই রোগের সঠিক কোনও চিকিৎসা নেই। রোগের তীব্রতা বিচার করে তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি। যে সব অংশে বুর্গার হয়েছে সেই সব অংশে রক্ত প্রবাহ কী ভাবে স্বাভাবিক রাখা যায় সেই দিকেই খেয়াল রাখুন।

প্রতিরোধ

নিতান্তই সিগারেটের নেশা ছাড়তে না পারলে ই-সিগারেট খেতে পারেন। কিছু ওষুধ থাকে যা রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষের মধ্যেও রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি থেরাপির মাধ্যমে এই ব্যথার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। পা বা হাতের আলসার সারাতে লেজার থেরাপির সাহায্য নেওযার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বুর্গার হলে পরবর্তীতে গ্যাংগ্রিনের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর একবার পচন ধরতে শুরু করলে তখন আঙুল কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।