বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। রোজকার জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাসই যে দায়ী সুগারের জন্য একথা বারবারই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের তুলনায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন রোজকার ডায়েট ও শরীরচর্চায়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পারলে তবেই সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা যখনই ডায়েটের কথা বলেন, তখন বেশিরভাগই বিভ্রান্ত হয়ে যান কী খাবেন আর কী খাবেন না। ডায়েট মানেই সব সময় দামি খাবার নয়। সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন দেশি খাবারেই। আমাদের চারপাশে এত রকম সবজি থাকে যা আমরা নিজেরাও জানি না। সারা বছর সেই সবজির ফলন বেশি হলেও অধিকাংশ তাতে পাত্তা দেন না।
কিন্তু ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সবজির। রোজ নিয়ম করে যে কোনও একটা তেতো খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তা যদি হয় উচ্ছে বা করলা তাহলে তো কথাই নেই। রোজ করলার জুস খেলে কিংবা ভাতের সঙ্গে করলা সিদ্ধ খেতে পারলে অনেক রকম শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়। সুগারও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
করলা ছাড়াও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি হল কুঁদরী। অনেকের কাছে তা তরুলী নামেও পরিচিত। ভারতের প্রায় সর্বত্রই ফলন রয়েছে এই সবজির। ২০০৩ এবং ২০১১ সালের আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী এই সবজি। শুধু ডায়াবেটিস নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁপানি, কোলেস্টেরলের সমস্যা রুখতেও কিন্তু কার্যকরী এই গ্রামীণ সবজি।
ডায়াবেটিসের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেমন ওষুধ খাবেন তেমনই রোজকার তালিকায় অবশ্যই রাখবেন শাক-সবজি। এছাড়াও কুঁদরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কুঁদরির মধ্যে কোনও রকম ক্যালোরি নেই। বরং রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। যে কারণে কুঁদরি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। সুগারের রোগীরা তাই রোজ কুঁদরি খেতে পারলে খুব ভাল।