High Cholesterol: বেড়ে যাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে চিন্তিত? ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে
Ayurvedic Tips: স্বাস্থ্যকর কোষ গঠনের জন্য কোলেস্টেরল শরীরের প্রয়োজন, কিন্তু এর পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যা খান তা সরাসরি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের (Health Tips) উপর প্রভাব ফেলে। এমনই একটি সমস্যা হল কোলেস্টেরল (Cholesterol), যা অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের (Unhealthy Lifestyle) জন্য বাড়তে শুরু করে। কোলেস্টেরল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যার কারণে অনেকেই চিন্তিত। কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া একটি মোম জাতীয় পদার্থ। স্বাস্থ্যকর কোষ গঠনের জন্য কোলেস্টেরল শরীরের প্রয়োজন, কিন্তু এর পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে একজন ব্যক্তির হৃদরোগের (Heart Diseases) ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ (Ayurvedic Expert) ডাঃ ডিক্সা ভাবসার কিছু ভেষজের কথা উল্লেখ করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, যা সাহায্য করতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন যে, “আয়ুর্বেদিক জীবনধারা অনুসরণ করাই বেশিরভাগ রোগীর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। অন্যদের মধ্যে, জীবনধারার পাশাপাশি- আমরা আমলকী, জিরে, মৌরি, রসুন, লেবু, আদা, অর্জুন, গুগগুল, ত্রিকাতু, ত্রিফলা, যস্তিমাধু, ধনে ইত্যাদির মতো কিছু গুল্মের সাহায্য নিই।”
View this post on Instagram
এখানে ভেষজ এবং মসলার তালিকা দেওয়া রইল যা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা করতে সহায়তা করতে পারে-
-আমলকী রস বা গুঁড়ো হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। এমনকি ফর্ম ট্যাবলেট বা কাঁচা ফল হিসাবে খেলে আরও ভাল হয়।
-জিরে, ধনেপাতা এবং মৌরি একটি সিসিএফ চা হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। মৌরি এবং জিরে মাউথ ফ্রেশনার বা আয়ুর্বেদিক মাউথওয়াশ (খাবারের পরে) হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে।
-রসুন (রসুনের ১ খোয়া) খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। এটি কোলেস্টেরলের সঙ্গে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
-লেবু বা ভিনেগার খালি পেটে বা খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে (যা আপনার পক্ষে উপযুক্ত) গরম জলে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
-আপনার ভেষজ চায়ের মধ্যে তাজা আদা গ্রেড করে দিয়ে খেতে পারেন। আদা দিয়ে চা আপনি দিনে একবার বা দু’বার পান করতে পারেন। শুকনো আদা গুঁড়ো সকালে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বা জলে সেদ্ধ করে নিন এবং সারা দিন ধরে সেই জলটা পান করতে থাকুন।
-অর্জুন হৃৎপিণ্ডের জন্য সবচেয়ে ভাল। এর ছাল দুধে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শোওয়ার সময় অর্জুনের চা বা সকালে অর্জুনের ছাল একটি কনকোশন হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। এমনকি অর্জুন ট্যাবলেটও প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।
-গুগুল একটি গাম রজন যা ফ্যাট বার্ন করতে কিংবা দ্রবীভূত করতে সহায়তা করে এবং ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এটি একটি একক ড্রাগ হিসাবে বা মেডোর গুগ্লুলু ত্রিফলা গুগ্গুলু ইত্যাদির মতো অন্যান্য গুল্মগুলির সঙ্গে সংমিশ্রণে খাওয়া যেতে পারে।
-ত্রিকাতু একটি আয়ুর্বেদিক ফর্মুলা যা তিনটি ভেষজ নিয়ে গঠিত – মারিচ, পিপ্পালি এবং শুন্তি।
-ত্রিফলা একটি সুপরিচিত আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশন যা আমলকী, হরিতকি এবং বিভীতাকি দিয়ে তৈরি। ত্রিফলা এবং ত্রিকাতু উভয়ই মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পাউডার ও ট্যাবলেট হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শুধু ব্যায়াম করেই কি ক্যালোরি বার্ন করা যায়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?