পুজো, উৎসব মানেই সেখানে দেদার খাওয়া-দাওয়া হয়। যতই ডায়েটের মধ্যে থাকা হোক না কেন পুজোর আগে উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়াতে ওজন বেড়েই যায়। আর এই তেল-মশলাদার খাবার শরীরের জন্য যে একেবারেই ভাল নয় তা সকলেই জানেন। এতে ওজন বাড়ে তাড়াতাড়ি। চোখের সামনে ভাল ভাল খাবার দেখলে নিজেকেও আটকে রাখা দায়।
এই পুজো, ভাইফোঁটা শেষেই শুরু হয় বাঙালির উৎসবের মরশুম। অঘ্রাণ হল বাঙালির বিয়ের মধুমাস। এই অঘ্রাণেই সবচেয়ে বেশি বিয়ে হয়। নিজের বিয়ে, বন্ধু-আত্মীয়ের বিয়ে তো লেগেই থাকে। আর তাই বিশেষ এই দিনে নিজেকে সুন্দর দেখাতে ডায়েট শুরু করে দিন আজ থেকেই।
বিয়ের আগে কাজের চাপ থাকে মারাত্মক। সেই সঙ্গে উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া তো থাকেই। আর তাই এই সময়টা একটু সতর্ক থাকা উচিত। একবেলা বাইরের খাবার খেলে অন্যবেলা অবশ্যই বাড়ির তৈরি খাবার খান। তেল মশলাদার খাবার একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কমিয়ে ফেলতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু করুন জোয়ান আর মেথির জল দিয়ে। জোয়ান ও মেথি একসঙ্গে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল ছেঁকে খান। এতে হজম যেমন ভাল হবে তেমনই শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও ভাল হয়।
ব্রেকফাস্টে দুধ আর চিয়া খেতে পারেন। এছাড়াও মুজলি বা ওটসের সঙ্গে দুধ, ফল, পিনাট বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন। একে খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল। অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদে পায় না। ওজন কমাতে এই ব্রেকফাস্ট খুবই উপকারী।
দুপুরে সবজি সিদ্ধ, রুটি আর শসা খান। দুপুরে যত বেশি সবজি, স্যালাড খাবেন ততই ভাল। এতে পেট ভরা থাকবে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদেও পাবে না। খিদে পেলে ড্রাই ফ্রুটস খান। এতে ফ্যাট বাড়বে না আর আর ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
ডিনার সেরে ফেলুন তাড়াতাড়ি। যদি ৮ টার মধ্যে খাওয়া সেরে ফেলেন তাহলে খুবই ভাল। এতে হজম ভাল হবে। রাতে শুধুমাত্র একবাটি স্যুপ খান। এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে। আর ওজনও কমবে ঝটপট।