COVID-19 News Update: করোনায় যাঁরা দীর্ঘ দিন অসুস্থ ছিলেন, তাঁদের দেহে অ্যান্টিবডির সংখ্যা বেশি
নিম্নলিখিত এই গবেষণার লক্ষ্য ছিল অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া, লক্ষণ এবং সংক্রমণের ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে আরও ভালভাবে অনুসন্ধান করা।
দ্য জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিজেস-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে গুরুতর কোভিড আক্রান্ত রোগীদের বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই অ্যান্টিবডি ভবিষ্যতে পুনরায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Rutgers Corona Cohort স্টাডির একটি অংশ হিসেবে এই গবেষণাটি ৮৩১ জন মানুষের উপর করা হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে ৫৪৮ জন ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং বাকি ২৮৩ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ছিলেন না।
কোভিডকালীন মহামারী শুরুর পর থেকে গবেষণায় বিষয়গুলির পর্যবেক্ষণ অব্যাহত ছিল। এই গবেষণার লক্ষ্য ছিল অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া, লক্ষণ এবং সংক্রমণের ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে আরও ভালভাবে অনুসন্ধান করা।
গবেষকদের মতে, স্টাডি চলাকালীন ৬ মাসের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ ৯৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৯৩ জন মানুষের কোভিড টেস্ট পজিটিভ হয়েছে।
এঁদের মধ্যে আবার ২৪ জনের সংক্রমণ গুরুতর ছিল এবং ১৪ জনের কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের প্রায় এক মাস ধরে করোনার লক্ষণ দেখা গেছিল। আর প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনার লক্ষণগুলি ৪ মাস ধরে বজায় ছিল।
গবেষণার তথ্য অনুসারে, বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী ছয় মাস ধরে টেকসই অ্যান্টিবডি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এটি লক্ষ্য করা গেছে যে অ্যান্টিবডির মাত্রা খুব বেশি ওঠা নামা করছিল।
গুরুতর ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ এবং মৃদু থেকে মাঝারি ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ অ্যান্টিবডি দেখা যায়। কেবলমাত্র ৭৯ শতাংশ উপসর্গবিহীন মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি উৎপাদনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
রুটগার্স রবার্ট উড জনসন মেডিকেল স্কুলের শিশু বিশেষজ্ঞ ও মহামারীবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক এবং গবেষণার সহ-প্রধান লেখক ড্যানিয়েল বি হর্টন বলেছেন, “উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্রমাগত উপসর্গ থাকাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ করতে সক্ষম ছিল।”
করোনা কিছুটা মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও এর অনেক জায়গাতেই রহস্যের তৈরি হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পরেও রোগের সংক্রমণের হাত থেকে নিশ্চিত মুক্তির কোন সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। সংক্রমণের গতি কিছুটা পরিমাণে কমানো সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়নি।
সেই কারণে, গবেষণা যাই বলুক না কেন, সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। করোনা প্রতিদিন নিজের আলাদা আলাদা ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করায় এখুনি সম্পূর্ণ নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কিন্তু, সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে রাখার ক্ষেত্রগুলির দিকে আমরা নজর দিতে পারি। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারলে, সংক্রমণ বা অ্যান্টিবডির চিন্তা নিয়ে গভীরভাবে ব্যাকুল হতে হবে না।
নিয়মিত মাস্ক পরা এবং হাত স্যানিটাইজ করার মাধ্যমে সতর্কীকরণের রাস্তাগুলো মেনে চলা আমাদের সাধারণ কর্তব্য।
আরও পড়ুন: চোখের জল থেকে ছড়াতে পারে করোনা: অমৃতসর মেডিক্যাল কলেজ