AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Liver Problem: জল পানের এই সাধারণ ভুলগুলি থেকেই কিন্তু আসে লিভারের সমস্য়া! বলছে নয়া সমীক্ষা

Fatty Liver: মদ্যপান করলেই লিভারের সমস্যা আসে তা নয়। নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা ইদানিং অনেকটাই বেশি। নেপথ্য রয়েছে অতিরিক্ত মিষ্টি, ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া

Liver Problem: জল পানের এই সাধারণ ভুলগুলি থেকেই কিন্তু আসে লিভারের সমস্য়া! বলছে নয়া সমীক্ষা
জল খাওয়ার ভুলেই বাড়ছে লিভারের সমস্যা
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2022 | 1:29 AM
Share

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আজকাল অনেকেই ভুগছেন। লকডাউন পরবর্তী সময়ে যে সব লাইফস্টাইল ডিজিজ (Lifestyle disease) আমাদের মধ্যে চেপে বসেছে তার মধ্যে অন্যতম হল লিভারের (Fatty liver disease) সমস্যা। শুধুমাত্র নিয়মিত অ্যালকোহল খেলেই যে লিভারের সমস্যা হবে, ফ্যাটি লিভার হবে তা কিন্তু নয়। বরং নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ( NAFLD) আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে অনেকটাই। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যাঁকা মিষ্টি, চিনি দেওয়া পানীয়, সফট ড্রিংক এবং সেই সঙ্গে ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি খান তাঁদের কিন্তু ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

মলিকুলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চ জার্নালে সম্প্রতি একচি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে, নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট জাতায় খাবারের পাশাপাশি যদি কোল্ড ড্রিংক, সফট ড্রিংক, মিষ্টি পানীয় বেশি খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু সেখান থেকেও হতে পারে লিভার ড্যামেজ। ইঁদুরদের নিয়মিত ভাবে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি চিনির জল দেওয়া হয়েছিল। এবং তাদের প্রত্যেকেরই পরবর্তীতে লিভারের সমস্যা এসেছে। যে কারণে আজকাল ডায়াটেশিয়ানরাও বলছেন, নিয়মিত ভাবে শর্করা বা মিষ্টি দেওয়া জল খেলে সেখান থেকে লিভারের সমস্যা আসবেই।

এই মিষ্টি বা শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়, আর সেই গ্লুকোজ থেকেই কিন্তু আমরা প্রয়োজনীয় এনার্জি পাই। কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে বা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। তখন ক্লান্তিবোধ বেশি আসে। অনেকেই আবার এই মিষ্টি পানীয়ের সঙ্গে সোডা মিশিয়ে খান। সেইক্ষেত্রে কিন্তু ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে কিন্তু সেখান থেকে ডায়াবিটিস, স্ট্রোকের সমস্যাও আসতে পারে। এমনকী লিভারের সমস্যায় বার্ধ্ক্য অনেক দ্রুত আসে। আর তাই শুধুই যে মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেখান থেকে লিভারের সমস্যা আসবে এমন কিন্তু নয়। নিয়মিত ভাবে ঠান্ডা পানীয় খেলে সেখান থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। এমনকী অতিরিক্ত সোডাও খাবেন না। অল্প পরিমাণে সপ্তাহে একদিন সোডার জল খেলেও কিন্তু সেখান থেকে আসতে পারে ফ্যাটি লিভারের মত সমস্যা।

অনেকেই এমন আছেন যাঁরা ঠান্ডা মিষ্টি পানীয় ছাড়া গলা ভেজাতে পারেন না। তাঁদের কিন্তু প্রথমেই এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। পরিবর্তে ডাবের জল খান। সাধারণ জল বার বার খান। দিনের মধ্যে ৮ গ্লাস জস অন্তত খেতেই হবে। তেষ্টা পেলে কোনও ভাবেই কোল্ড ড্রিংক খাওয়া যাবে না। পরিবর্তে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে ব্যাগে রাখুন। এমনকী প্যাকেটজাত জুস বেশি খেলেও এই একই সমস্যা হতে পারে। নিতান্তই যদি জল খেতে না পারেন তাহলে জলের মধ্যে এক টুকরো লেবু বা কমলালেবুর স্লাইস ফেলে দিন। এতে লিভার থাকবে ভাল।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।