শরীর সুস্থ রাখতে অপরিহার্য হল ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে সেখান থেকে তখন একাধিক সমস্যা আসে। দাঁত, হাড় এবং পেশীর গঠনে অন্যতম হল ভিটামিন ডি। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসলে শরীরে সবথেকে বেশি ভিটামিন ডি-সংশ্লেষিত হয়। ভিটামিন ডি-এর উৎস হল সূর্যালোক। খাবার থেকে খুব কম পরিমাণেই ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত হয়।
ভিটামিন ডি-এর অভাবে শুধুই যে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় তাই নয়, মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। সারা দেশের অজস্র মানুষের মধ্যে রয়েছে এই ভিটামিনৃডি এর ঘাটতি। ইদানিং সেই সংখ্যাটা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কিনা তা জানা যায়। বর্তমানে জিহ্বা-তে পরীক্ষার মাধ্যমেও ভিটামিন ডি- এর ঘাটতি জনিত লক্ষণ ধরা পড়ে।
মায়ো ক্লিনিকের মতে, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের অভাবের কারণেও মুখে জ্বালাপোড়া ভাব থাকতে পারে। তাই ১২ ঘন্টা খালি পেটে থেকে ডায়াবেটিস, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ৬, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১, থাইরয়েডের পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার।
ঠোঁট বা জিহ্বাতে জ্বালাপোড়া ভাব থাকলে, ক্রমশ মুখ, জিভ শুকিয়ে যেতে থাকলে এবং সেই সঙ্গে মুখে যদি অসাড়তার অনুভূতি হয় তাহলে ভিটামিন-ডি এর অভাব বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিছুক্ষেত্রে খাবারের কোনও স্বাদও পাওয়া যায় না। কিছু খাওয়ার পর ব্যথা বাড়তে পারে। তবে এই ব্যথা সবার ক্ষেত্রে সমান হয় না।
ঘুমোলেও কাটছে না ক্লান্তি, চুল পড়া, ওবেসিটি, মুখে জ্বালা ভাব, পেশীর ব্যথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, উদ্বেগ, হতাশা কারণ ছাড়াই মেজাজ হারানো এই সবই হল ভিটামিন ডি- এর অভাবজনিত লক্ষণ। ভিটামিন ডি- এর অভাব হলে রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমে যায়, হাইপোফসফেমিয়া, রিকেট, অস্টিওম্যালাসিয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আর তাই শরীরে ভিটামিন ডি-সংশ্লেষের জন্য রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট সূর্যালোক গায়ে লাগাতেই হবে। বাইরে বেরোতে হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান। প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষাও করিয়ে নিতে ভুলবেন না। রোজকার খাবারে দুধ, মাছ, পালং শাক, সোয়াবিন, স্যালমন মাছ, বাঁধাকপি, দুগ্ধজাত খাবার রাখতে ভুলবেন না।