রোজ খেলেই বুক জ্বালা, অ্যাসিডিটি। প্রায়শই লেগে রয়েছে পেটখারাপ। পাত্তা না দিতে দিতে অনেকের তা গা-সওয়া হয়ে যায়। ভাবেন সামান্য অ্যান্টাসিডেই কাজ চলে যাবে। তবে এই কৌশল একেবারেই ঠিক নয়। যে কোনও আলসারই হতে পারে ভয়াবহ। তা স্টমাক আলসার হোক বা কোলন আলসার। দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে সেখান থেকে সংক্রমণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে সবচাইতে বেশি।
আগের থেকে অনেক বেশি বেড়েছে এই সমস্যা। একটু খুঁজলেই পাওয়া যায় আলসারের রোগী। পেটের সমস্যা নিয়ে আসা অধিকাংশই ভুগছেন আলসারে। খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা, একটানা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, ব্যথার ওষুধ খেলে, কেমো থেরাপি চললে সেখান থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। এছাড়া নিয়মিত তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান এসব তো আছেই।
পেটের আলসার হলে প্রাথমিক লক্ষণ হল প্রায়শই গ্যাস হওয়া, পেট ফেঁপে যাওয়া, পেট ফুলে যাওয়া, পেটে জ্বালা ভাব, বমি, খিদেমন্দা ইত্যাদি। কোনও খাবার খেয়ে গ্যাস, অ্যাসিডিটি হলেও এই সমস্যা হয়। আলসার হলে গ্যাস-অম্বলের মত সমস্যা লেগেই থাকবে।
আলসার যদি দীর্ঘদিন ধরে শরীরে থেকে যায় তাহলে একসময় শরীর ভেঙে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়, অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে। পেটে অসহ্য ব্যথা, খাবার হজম না হওয়ার মত সমস্যাও থাকে। দীর্ঘদিন আলসার থাকতে থাকতে সেখান থেকেই ক্যানসার হয়। আর তাই এই পরিস্থিতিতে এন্ডোস্কোপি বা কোলোনোস্কোপি ছাড়া কোনও গতি নেই।
তাই গ্যাস, অম্বল লেগেই থাকলে, হজমে অসুবিধে হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় কিছু স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করিয়ে নিতে ভুলবেন না। ডাক্তার যে সব ওষুধ দেবেন তা নিয়ম করে খাবেন। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়।
আলসার থাকলে ঝাল, তেলমশলাদার খাবার, অনিয়ম, খাবারের মাঝে দীর্ঘক্ষণের গ্যাপ একেবারেই চলবে না। পাশাপাশি মদ্যপান, ধূমপানও চলবে না। জীবনযাত্রা অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সব সময় সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। অ্যান্চিবায়োটিকও পরিমাণে কম খেতে হবে।