AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বেশি আক্রান্ত ইয়ং জেনারেশন! কারণ কী, জানালেন ICMR-এর প্রধান

কোভিডের মারাত্মক প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে প্রবীণদের উপর। এমন কথা যেমন সত্যি, তেমনি পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হচ্ছে ৩০-৪০ বছর ও তার কম বয়সিরাও।

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বেশি আক্রান্ত ইয়ং জেনারেশন! কারণ কী, জানালেন ICMR-এর প্রধান
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছেন ইয়ং জেনারেশন!
| Updated on: May 12, 2021 | 4:55 PM
Share

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জেরে দেশের কম বয়সি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আক্রান্তের গ্রাফ বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধানের মতে, সারাদেশে এই গ্রাফের কারণের পিছনে রয়েছে মূলত দুটি কারণ।

ICMR চিফ ড. বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, আমরা দেখেছি যে অল্প বয়সিরা বেশ উত্‍শৃঙ্খলভাবে করোনাকে পাত্তা দেয়নি। মাস্ক ছাড়াই জমায়েত বা পার্টিতে মজে ছিল তাঁরা। প্রথম তরঙ্গে তেমন প্রভাব না ফেললেও দ্বিতীয় তরঙ্গে বেশ প্রভাবিত করেছে নতুন প্রজন্মকে। কোনও রকম সুরক্ষাকবচ না নিয়েই বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, কোভিড বিধিনিয়ম সঠিকভাবে না মেনে চলা- এর পিছনে বড় কারণ।

আরও পড়ুন: গভীর ঘুমোলেই বাড়ে স্মৃতিশক্তি, কমে সঙ্গমের ইচ্ছা! কম ঘুমের বিপদগুলি কী কী?

ICMR-এর প্রধান আরও জানিয়েছেন, কোভিড১৯ এর প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বয়সের তেমন পার্থক্য নেই। ৪০ বছরের বেশি বয়সিদের করোনার প্রভাব বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, বয়সের নিরিখে প্রথম দিকে গুরুত্ব দেয়নি সরকারও। মারণবাইরাস যে কোনও বয়সের সীমা মানে না তা বলাই বাহুল্য। তবে বয়সের তারতম্যের কারণ শরীরের অসুস্থতা কম-বেশি হতে পারে। ২০২০ সালের প্রথম করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় বলা হয়েছিল আক্রান্তদের ৩১ শতাংশ ৩০ বছরের কম বয়সি। ২০২১ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ শতাংশে।

আরও পড়ুন: সতর্ক না হলে বিপদ! হরমোনাল ইমব্যালান্স হয়েছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে ইতোমধ্যে জানিয়েছে, দেশে দৈনিক নতুন কোভিড আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গিয়েছে। সরকারের মতে, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, ছত্তিশগঢ়, বিহার, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলির মধ্যে প্রতিদিন নতুন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, অসম, ওড়িষা, হিমাচল প্রদেশ, মঘালয় ও ত্রিপুরা-সহ ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলিতে দৈনিত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১৩টি রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষের বেশি সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছে, ২৬টি রাজ্যে ১৫ শতাংশের বেশি ইতিবাচক রেট বেশি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।