Goa Congress: গোয়া বিধানসভায় কি ফের ভাঙন? বাজেট অধিবেশনের আগেই দল বদলের জুজু! কাঁপছে কংগ্রেস

Goa Congress: গোয়া বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে দলবদলের ভয়ে কাঁপছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন কং বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

Goa Congress: গোয়া বিধানসভায় কি ফের ভাঙন? বাজেট অধিবেশনের আগেই দল বদলের জুজু! কাঁপছে কংগ্রেস
(প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2022 | 5:40 PM

পানাজি: বছরের শুরুতে, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ১১ টি আসনে জিতেছিল। মাস তিনেক যেতে না যেতেই সেই ১১টি আসনও থাকবে কি না, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। সোমবারই শুরু হচ্ছে গোয়া বিধানসভার অধিবেশন। ঠিক তার আগের দিন, রবিবার (১০ জুলাই) কংগ্রেসে ভাঙনের জোরালো জল্পনা তৈরি হল। শনিবার, দলের পরিষদীয় দলের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন কংগ্রেস বিধায়ক! শুধু তাই নয়, দলীয় সূত্রের খবর দলে মতবিরোধের জেরে বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছেন বলে শোনা গিয়েছিল। অবশ্য দলের মধ্যে কোনও ফাটল থাকার কথা অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। তবে, এদিন তড়িঘড়ি দলের গোয়ার পর্যবেক্ষক দীনেশ গুন্ডু রাও-কে ডেকে আরও এক সভা করা হল। সেখানেও অনুপস্থিত থাকলেন দলের এক বিশিষ্ট নেতা।

সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে যে দিগম্বর কামাতকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেছিল কংগ্রেস, তিনিই এদিন বিধায়কদের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলনেতা করায় তিনি বিরক্ত। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ঠিক আগেই বিজেপি থেকে কংগ্রেসে পাড়ি দিয়েছিলেন লোবো। তাঁকেই বিরোদী দলনেতা করাটা মেনে নিতে পারছেন না কামাত। গোয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, এমনকি মাইকেল লোবোও তাঁর পুরনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছেন। গেরুয়া শিবিরে ফিরে যেতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, আট কংগ্রেস বিধায়ককে নিশানা করেছে বিজেপি। তবে, মাত্র ছয়জন বিধায়ককে দল পরিবর্তনের বিষয়ে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছে। সূত্রের দাবি, এই তালিকায় নাম রয়েছে, দিগম্বর কামাত, মাইকেল লোবো, ডেলাইলা লোবো, কেদার নায়েক এবং রাজেশ ফলদেসাইয়ের। বিজেপির আশা রবিবারের মধ্যেই আরও তিনটি নাম সেই তালিকায় যুক্ত করতে পারবে তারা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, কংগ্রেসের গোয়া শাখার প্রধান অমিত পাটকরের দাবি করেছেন, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কংগ্রেস বিধায়ক অ্যালেইক্সো সিকুইরাও দাবি করেছেন, শনিবারের সভায় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে, দলের অন্দরে যে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না, তাঁর বক্তব্যেই তার আভাস মিলেছে। কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন, ‘সভায় সাতজন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। হাইকমান্ড আমাকে সভায় ডাকেনি, শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই এসেছিলাম। সব জায়গাতেই কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপি ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। কী আর করা যাবে। আমি নিজের কথা বলতে পারি, আমি কংগ্রেসেই আছি। অন্য কে কী করবে, তা আমি বলতে পারব না।’

এদিন, এআইসিসির গোয়ার পর্যবেক্ষক দীনেশ গুন্ডু রাও এদিন দশ কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়েই বৈঠক করেন। তাঁদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেন। তবে, এই প্রচেষ্টায় কতটা কাজ হবে, তাই নিয়ে কংগ্রেস বিধায়করাই সন্দেহ প্রকাশ করছেন। মজার বিষয় হল ৩ বছর আগে, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই তারিখেই ভাঙনের মুখে পড়েছিল কংগ্রেস। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক বিধায়ক বিজেপিতে পাড়ি দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র চারজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলের সঙ্গে রয়ে গিয়েছিলেন। বদলে গিয়েছিল সরকার। এই প্রেক্ষিতে, চলতি বছরের নির্বাচনের সময় কংগ্রেস বিধায়কদের আনুগত্যের সংকল্প নিইয়েছিল কংগ্রেস। কোনও পরিস্থিতিতেই দল পরিবর্তন করবেন না বলে শপথ নিয়েছিলেন কং নেতারা।